বাড়ির সীমানায় ঢুকে পড়েছিল বছর সাতেকের এক বালক। অভিযোগ, সে জন্য তাকে মারধর করেন গৃহকর্তা। বালকটির দাদু এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযুক্ত বাপি দাস পোদ্দারের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান ও তাঁকে মারধর করেন। প্রাক্তন ফুটবলার বাপির পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ রায়ের নেতৃত্বে হামলা চলে। দিন কয়েক আগে সোনারপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। তবে সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বালকের মা রিয়া সেন বলেন, ‘‘ছেলে খেলতে খেলতে ওই বাড়ির সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাতে ওকে লাথি মেরে গলায় পা তুলে দেওয়া হয়। আমার বাবা কথা বলতে গেলে তাঁকেও মারা হয়।’’ জখম বাপির ভাই দীপেন দাস পোদ্দার বলেন, ‘‘ছেলেটি সেপটিক ট্যাঙ্কের উপরে উঠেছিল। বার বার নামতে বললেও নামেনি। তাই দাদা কিছুটা শাসন করে তাকে নামিয়ে দেয়। এর পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লোক নিয়ে এসে বাড়িতে ভাঙচুর চালান।’’ যদিও নারায়ণের দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। বাচ্চাটিকে মারায় গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালান। পরিবারটির উপরে গ্রামবাসীদের পুরনো রাগ ছিল।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)