তিনি রাঁধেন। ফেসবুকও করেন।
শুধু করেন-ই না, স্বামী-স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্টে ঢুকে নানা অশ্লীল ছবি পোস্ট করে, মন্তব্য করে স্ত্রীকে উত্যক্ত করেন বলেও অভিযোগ।
পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী। মঙ্গলবার অশোকনগরের কাঁকপুল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী সোমনাথ চক্রবর্তীকে। তিনি রাজ্য পুলিশের কর্মী। বর্তমানে ব্যারাকপুরে সশস্ত্র পুলিশের কর্মরত। সেখানে রাঁধুনির দায়িত্বে আছেন ওই যুবক।
সোমনাথকে বুধবার বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের কাছে সোমনাথ অবশ্য আপত্তিকর পোস্টের কথা অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমনাথের সঙ্গে বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছিল হাবরার তরুণীর। কিছু দিন সব ঠিকঠাক চলেছিল। সুখের সময়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের নামে যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ফেসবুকে। যার পাসওয়ার্ড জানতেন দু’জনেই।
ক্রমে বদলায় সম্পর্কের রসায়ন।
নানা কারণে তরুণীর নববধূটির উপরে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক-মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ। গত বছর জুন মাসে ওই তরুণী থানায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। সোমনাথ আদালত থেকে আগাম জামিন পান। পরে ওই তরুণী বারাসত আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন।
এরপরেই স্ত্রীকে উত্যক্ত করতে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকে সোমনাথ আপত্তিকর পোস্ট করতে শুরু করেন বলে তরুণীর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy