ভাঙড়ে আটক আইএসএফ নেতা। প্রতীকী চিত্র।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর আরও এক নেতাকে আটক করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা শেখ ফিরোজকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। ফিরোজকে ভাঙড়ের হাতিশাল এলাকায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, হাতিশালা ভাঙচুরের ঘটনার সিসিটিভির ছবি দেখে চিহ্নিত করা হয় ফিরোজকে। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে কাশীপুর থানার পুলিশ আটক করে ফিরোজকে। তাঁকে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ফিরোজের বাড়ি ভাঙড়ের পানাপুকুর এলাকায়।
ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রায়নুল হকের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ নিরীহদের গ্রেফতার করছে রাতের অন্ধকারে। শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার এবং বিরোধীশূন্য করার চেষ্টা হচ্ছে। শক্তিশালী সংগঠকদেরই বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’’ তিনি নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি দলের শাখা সংগঠনগুলিকে নিয়ে ভাঙড়ে বৈঠক ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন রায়নুল। তাঁরা আপাতত দলের রাজ্য কমিটির সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়।
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের পুত্র হাকিমুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ‘‘ভাঙড় থেকে ইট-পাথর নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে কলকাতা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে আইএসএফ। সেই ঘটনাতেই আটক করা হয়েছে ফিরোজকে। হাতিশালায় তৃণমূলের ৩টি পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয়েছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায়।’’ তাঁর দাবি, ভাঙড়-সহ রাজ্য জুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে আইএসএফ। এর প্রতিবাদে দলের বুধবার পাকাপোল থকে হাতিশালা পর্যন্ত ‘প্রতিবাদ মিছিল’ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে টানাপড়েনের জেরে তপ্ত ভাঙড়। দুই দলের অশান্তির জেরে থমথমে এলাকা। গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশকর্মীরা। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। পাশাপাশি চলছে ধরপাকড়ও। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy