অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল সাগর উপকূল থানা এলাকায়। মূল অভিযুক্ত গোপাল দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেলহাজত হয়। মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা গোপালের। পুলিশের দাবি, জেরায় পেশায় ট্রলার শ্রমিক গোপাল সে কথা স্বীকারও করেছে। সে জানিয়েছে, মেয়েটির পরিবারের তরফে এই সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি।
মেয়েটির বাবা সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ১১ অগস্ট রাতে তাঁর মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে গোপাল ধর্ষণ করেছে। সঙ্গে ওই যুবকের আরও দুই বন্ধুও ছিল। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি গঙ্গাসাগরে, অন্য জন মগরাহাটের গ্রামের বাসিন্দা। ওই রাতেই গ্রেফতার হয় গোপাল। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে গণধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। ঘটনার তিন দিন পরে কেন অভিযোগ হল? এ প্রসঙ্গে মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার পর থেকেই গোপাল হুমকি দিচ্ছিল, যাতে থানায় অভিযোগ জানানো না হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মেয়েটিকে হোমে পাঠাতে এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে অসম্মত ছিল পরিবারও। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy