প্রতীকী ছবি।
সাইকেলে ঠাণ্ডা বাক্স (ইনসুলেটেড বক্স) নিয়ে মাছ বিক্রি করার জন্য সাহায্য করা হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। এ বার প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের সুবিধার জন্য আরও একধাপ এগাোনোর চিন্তাভাবনা করল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার।
কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে শুটকি মাছের প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের ইনসুলেটেড বক্স সমেত মোটরসাইকেল দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্যক্ষেত্রের সমবায়গুলিতে এ বার দেওয়া হচ্ছে মিনি ট্রাক।
ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎকুমার বাগ বলেন, ‘‘বিকল্প জীবীকার অঙ্গ হিসেবে মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে সরকার। এ বছর ৪০টি এরকম মোটরবাইক দেওয়া হবে। প্রতিটিতে যে ইনসুলেটেড বক্স থাকবে তাতে ৫০ কিলো মাছ বহন করা যাবে।’’ ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মৎস্য দফতরের কর্তাদের দাবি, আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে এই বাইকগুলি দিয়ে দেওয়া যাবে। তবে তার আগে নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সফরে এসে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাইকেলের সঙ্গে ইনসুলেটেড বক্স বিলি করার রাজ্য সরকারের প্রকল্পও পাশাপাশি চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এক একটি বাজার চলতি বাইক এবং ওই ঠান্ডা বাক্স সমেত খরচ পড়বে ৬০ হাজার টাকা করে। এতে প্রায় ১৮ ঘণ্টা মাছ ঠিকঠাক থাকবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে মৎস্য সমিতিগুলিকে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে থেকেই প্রাপকদের নাম বাছাই করে পাঠাতে। প্রাপকদের চূড়ান্ত নির্বাচন করার দায়িত্বে থাকছে মৎস্যকর্তাদের তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বাইকগুলি বিলি করা হবে মূলত খটি বা শুটকি মাছের খামার থেকে মাছ বিক্রি করেন এরকম ব্যবসায়ীদের। এরকম খটি বেশি রয়েছে সাগর এবং নামখানাতে।
শুটকি মাছে সাধারণত, ঠাণ্ডা বাক্স প্রয়োজন হয় না। তবে বিকল্প জীবীকা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে শীতের সময় শুটকি মাছের ব্যবসায়ীরা মরসুম শেষ হলে মিষ্টি জলের মাছও ওই বাইকে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতে পারেন। খটির জন্য যে মাছ ধরা হয়, তার সবটাই শুটকি হিসেবে তৈরি করা হয় না। কিছুটা কাঁচা মাছও বাজারে বিক্রি করেন মৎস্যজীবীরা। সেই কাজেও মাছ ঠাণ্ডা বাক্সে করে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার কাজে লাগাতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। হাজার হাজার মৎস্যজীবীদের মধ্যে যে সংখ্যক বাইক বিলি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই কম বলে দাবি করছেন মৎস্যজীবীরা। সাগরে রয়েছে ৮টি খটি সমিতি। সাগর মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক আবদার মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছিল এরকম ক’টি বাইক প্রয়োজন। আমরা ১৫টি বাইক চেয়েছি। তবে এখনও প্রাপকদের নাম চায়নি মৎস্য দফতর।’’
চলতি আর্থিক বর্ষে দু’টি মিনি ট্রাকও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিগুলিকে দেওয়া হবে। এক একটির বহন ক্ষমতা ৬ টন। এক একটির জন্য ১৫ লক্ষ করে টাকা খরচ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy