Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

অসম লড়াই আর প্রতিকূলতা তাদের হারাতে পারেনি। বরং লড়তে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে জয় করতে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছেন মুসলিম পরিবারের বিধবা মহিলা। স্বামীহারা ওই মহিলার তিন ছেলেমেয়েই স্কুলে পড়াশোনা করে। জরির কাজ করে সংসারের হাল ধরে তিনিও হেঁটেছেন সন্তানদের পথেই। উস্তির ঘোলা নওয়াপাড়ার আঙুরার স্বামী মনিরুল সর্দার অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন বছর তিনেক আগে।

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০০:১৮
Share: Save:

সংসার সামলে অন্য লড়াই চলছে আঙুরার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

অসম লড়াই আর প্রতিকূলতা তাদের হারাতে পারেনি। বরং লড়তে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে জয় করতে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছেন মুসলিম পরিবারের বিধবা মহিলা। স্বামীহারা ওই মহিলার তিন ছেলেমেয়েই স্কুলে পড়াশোনা করে। জরির কাজ করে সংসারের হাল ধরে তিনিও হেঁটেছেন সন্তানদের পথেই। উস্তির ঘোলা নওয়াপাড়ার আঙুরার স্বামী মনিরুল সর্দার অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন বছর তিনেক আগে। দিশেহারা অবস্থার থেকে জরির কাজ শুরু করেন তিনি। একে একে তিন ছেলেমেয়েকেই স্কুলে ভর্তি করেছেন। বড়ছেলে মিনহাজ নবম, মেয়ে মণিকা পঞ্চম, ছোট ছেলে নাফিস পড়ছে প্রথম শ্রেণিতে। আঙুরার কথায়, ‘‘দিন রাত এক করে খেটেছি। জরির কাজ করতাম রাতে সংসার সামলে। এক একদিন ভোর হয়ে যেত টের পেতাম না।’’

মনের জোরে।

এ ভাবেই এক দিন আঙুরার শাশুড়ি, যা, ভাসুর তাঁর পড়াশোনার ইচ্ছের কথা জানতে পেরে এগিয়ে এলেন। যে মেয়ের পড়া বিয়ের পরে অষ্টম শ্রেণিতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছেল, তা আবার শুরু হয়। মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন আঙুরা। তারপর ডায়মন্ড হারবার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে আরও দু’বছর পড়াশোনা চালান। এ বার উস্তির উত্তর কুসুম হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন তিনি। ‘‘পরিবারের সকলেই সাহায্য করেছে টাকা-পয়সা দিয়ে। তবে মনের নো থাকলে এই জায়গায় এসে পৌঁছতাম না হয় তো’’, বলছেন আঙুরা। তিন ছেলেমেয়ে, শাশুড়ির সংসার জরির কাজ করে চালান তিনি। দিনে সময় না পেলে রাতে কাজ করেন। এর মধ্যেই একটু করে পড়াশোনা চালান। সে ভাবে কোনও কোচিংয়ের সুযোগও পাননি। বললেন, ‘‘একটা চাকরি তো পেতেই হবে। তাই এত খাটছি।’’

পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১

অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইক আরোহীর। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ঢুঁড়ির বাসন্তী হাইওয়েতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মুরশেদ মণ্ডল (৬৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের শীতলিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় বাসিন্দারা ওই এলাকার অবৈধ অটো চলাচল বন্ধের দাবিতে আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে অবৈধ অটো চলাচলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে মুরশেদ সইফুল সর্দার নামে এক আত্মীয়ের বাইকে চেপে বাসন্তী আসছিলেন। ঢুঁড়ির কাছে একটি অটো মোটরবাইককে ওভারটেক করতে গিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন মুরশেদ। তাঁর মাথা ফেটে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বাসন্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সইফুলের চোট সামান্যই।

জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর চর থেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিলেন দখলদারেরা।
শুক্রবার তাঁরা নিজেরাই কাঠামো খুলে নেন। গত ৪ মার্চ আদালতের ট্রাইবুন্যাল বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবারের
মধ্যে
সেখানকার সব নির্মাণ সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু গত মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে
ফিরে আসতে হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের।
ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “যাঁরা সরে গেলেন,
মানবিক কারণে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁদের সাহায্য করার চেষ্টা করা হবে।”

বসিরহাটে রাহুল সিংহ ও শমীক ভট্টাচার্য।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy