বাগদায় যুবক খুনে ধৃত মহিলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা
বাগদার রাঘবপুরের বাসিন্দা নিহত কার্তিক বারুই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্থানীয় কমলাবাস গ্রামের বাসিন্দা চম্পা রায় নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল। দীর্ঘ জেরার পরে রবিবার গভীর রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। রবিবার দুপুরেই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সুকান্ত রায় নামে এক যুবক ধরা পড়েন। সোমবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সুকান্তকে ও চম্পাকে ৬ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এসডিপিও (বনগাঁ) বিশ্বজিত্ মাহাতো বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, বিবাহিতা চম্পার সঙ্গেই কার্তিক ও অভিজিত্ রায় নামে অন্য এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই খুন হতে হয়েছে কার্তিককে। খুনের ষড়যন্ত্রে চম্পাও যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান।” শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি কার্তিক। রবিবার সকালে পুলিশ সুকান্ত, চম্পা ও তাঁর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবি, সুকান্ত খুনের কথা স্বীকার করেন। দুপুরে স্থানীয় হুলোরঘাট গ্রামের একটি বাগান থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় কার্তিকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে মাথায় হাতুড়ির ঘা মেরে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিজিত্ রায় অবশ্য এখনও অধরা। তবে চম্পার স্বামীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দিয়েছে।
বধূ অসুস্থ, ধৃত স্বামী-শাশুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
বধূকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার আঁকিপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিলুফা বিবিকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র বলেন, “নিলুফার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী মলিবুল রহমান এবং শাশুড়ি আনোয়ারা বিবিকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ জানায়, গত তিন বছর আগে দত্তপুকুর থানা এলাকার কদম্বগাছির কাজিকআইট গ্রামের নিলুফাকে বিয়ে করে বসিরহাটের আঁকিপুর গ্রামের বাসিন্দা মলিবুল রহমান। অভিযোগ, বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও নিলুফার উপরে স্বামী-শাশুড়ির শারীরিক-মানসিক অত্যাচার চলতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশি বসে। তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। রবিবার বিকেলে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নিলুফা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফাইনালে জয়ী নুরপুর ফুটবল কোচিং সেন্টার
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামনগর
ডায়মন্ড হারবারের রামনগর থানা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে রবিবার নক আউট ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল নুরপুর ফুটবল কোচিং সেন্টার। ফাইনালে তারা ট্রাইবেকারে ৪-০ গোলে গোপালপুর উদীয়মান সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বজিত্ বেরা, কাঞ্চন মিদ্যা ও সৌমেন রায়। জয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন রামনগর থানার আইসি তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য।
পুরস্কৃত যাঁরা।—নিজস্ব চিত্র।
রানার্স দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন স্থানীয় কলাতলাহাট পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা হালদার। মাঠে উপস্থিত ছিলেন থানা সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান কমল মণ্ডল-সহ বিশিষ্ট অনেকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারাশঙ্করবাবু বলেন, “জেলা পুলিশের নির্দেশে এবং এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নিবিড় করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলায় স্থানীয় ৮টি দল যোগ দেয়।”
পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ পরীক্ষার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলপি
পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে কুলপি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে কুলপির রামকৃষ্ণপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে এসেছিল কেওড়াতলা হাইস্কুলের কলাবিভাগের ছাত্র মানবেশ সিংহ। ভৈরবনগর গ্রামের বাসিন্দা মানবেশ পরীক্ষা শুরুর প্রথম ঘণ্টা পড়ার পরে বাইরে বেরিয়েছিল। সারা শরীরে খিঁচুনি হওয়ায় বারান্দায় পড়ে যায়। স্কুলের শিক্ষকেরাই তাকে তুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে মজুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠায়। মানবেশের আত্মীয়া রাজশ্রী দাস জানান, আগে ওর কোন রোগ ছিল না। সম্ভবত পরীক্ষার টেনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রেও সেই বক্তব্যেরই সমর্থন মিলেছে।
বাড়িতে চুরি
অনুষ্ঠান শেষে ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছিল পিতলের পাঁচটি হাঁড়ি, মোটর এবং রান্নার সরঞ্জাম। সোমবার সকালে উঠে বাকবুল ইসলাম দেখেন, ঘরের দরজা ভাঙা। জিনিসপত্র সব চুরি হয়ে গিয়েছে। তিনি ছোটেন দেগঙ্গা থানায়। দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের পাথরঘাটা গ্রামের এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
রানাঘাটে মাদার সুপিরিয়রের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিল বনগাঁয়। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy