বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্র ছাড়া বিশ্বের সব প্রান্তের পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কাছে খাদ্যতালিকার অত্যাবশ্যক একটি উপকরণ শাক। বাঙালির পাতে শাকের গুরুত্ব চিরকালীন।
ছবি: সংগৃহীত
শস্যদায়িনী দেবী শাকম্বরী অর্থাৎ দুর্গার আরাধনার পরেই আসে কালীপুজো। কারও মতে তাই দুর্গার সঙ্গে যেমন নবপত্রিকার গাঁটছড়া বেঁধে দেওয়া হয়, তেমনই কালীর সঙ্গে চোদ্দোশাকের গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞানীদের মতে, শরৎ থেকে শীতের মাঝে ঋতু পরিবর্তনজনিত নানা রোগ হয়। ভেষজগুণসম্পন্ন চোদ্দোশাক খেয়ে সেই সব রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে এই রীতি।
ছবি: সংগৃহীত
যদিও এখন বাজারে যে চোদ্দোশাকের আঁটি ভূত চতুর্দশীর দিন বিক্রি হয় তার সঙ্গে প্রচলিত চোদ্দোশাকের খুব একটা মিল নেই। এর মূল কারণ, সব জায়গায় সব শাক পাওয়া যায় না।
ছবি: সংগৃহীত
ভূত চতুর্দশীতে প্রচলিত চোদ্দোশাক খাওয়ার কথা পাওয়া যায় স্মৃতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দনের লেখা ‘কৃত্যতত্ব’ গ্রন্থে।
ছবি: সংগৃহীত
চোদ্দোশাক হল ওল, কেঁউ, বেথো বা বেথুয়া, কালকাসুন্দা, সরষে, নিম, জয়ন্তি, শালিঞ্চা, হিংচে, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ঘেঁটু বা ভাট ও শুষনি।
ছবি: সংগৃহীত
পালং, শাক, লাল, মূলো, মেথি, পাট শাক, গিমে শাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, কলমি, সরষে, নটে, হিঞ্চে, শুষনি দিয়েও তৈরি হয় বর্তমানে চোদ্দোশাক।
ছবি: সংগৃহীত
শাক ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। বড়ি ভেজে তুলে রাখতে হবে। কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে শাক দিতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত
নুন, হলুদ, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে বড়ি ভাজা আর অল্প চিনি দিয়ে মাখো মাখো নামাতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত