কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় কালীপুজো। এর ঠিক আগের দিন ভূত চতুর্দশী পালিত হয়।
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর কালীপুজো পড়েছে ১২ নভেম্বর, রবিবার। সুতরাং ভূত চতুর্দশী পালিত হবে ১১ নভেম্বর, শনিবার।
ছবি: সংগৃহীত
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মহালয়ার দিন তর্পণ করা হয় পিতৃপুরুষদের অন্নজল দানের জন্য। চোদ্দপুরুষ যমালয়ে কালাতিবাহিত করার পর অমৃতলোকে যাত্রা করেন।
ছবি: সংগৃহীত
প্রচলিত বিশ্বাস, তার আগে তাঁরা বসতভিটে দেখতে আসেন ভূত চতুর্দশীর দিন। তাঁদের যাত্রাপথে আলো দেখানোর জন্য চোদ্দপ্রদীপ জ্বালা হয়৷ তবে এই বিশ্বাস বা এই আচারের অন্য ব্যবহারিক দিকও আছে।
ছবি: সংগৃহীত
হেমন্তকালে ফসল কাটা হয়৷ সেই ফসলকে পোকা ইত্যাদির ক্ষতি থেকে বাঁচাতে প্রদীপ জ্বালানো হত৷
ছবি: সংগৃহীত
এই সময় প্রচুর শ্যামাপোকা হয় আর আলোর চারদিকে তারা ঘুরে বেড়ায়। তাই প্রদীপের আলোয় গৃহ সৌন্দর্যবৃদ্ধি আর হৈমন্তিকা ফসল রক্ষা উভয়ই হত বলে মনে করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দশাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত। মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দশাক খেলে তার কাছে প্রেত ঘেঁষতে পারে না। বহু আগে স্বাস্থ্যজ্ঞান বা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তেমন ছিল না। কিন্তু ভগবানে বিশ্বাস এবং ভূতে ভয় থেকে শাকপাতা খাওয়া হত বলেও অনেকে মনে করেন।
ছবি: সংগৃহীত
হেমন্তের রাতে আলো-অন্ধকার মিশে একাকার। একটি মুহূর্তে মিলে যায় অতীত আর বর্তমান। প্রদীপের আলোয় পূর্বপুরুষের সঙ্গে দেখা হয়। অতীত-অন্ধকার, পুরনো-নতুনের মেলবন্ধনে পথ দেখায় আলো।
ছবি: সংগৃহীত