কোচ নির্বাচিত হওয়ার পরের দিনই ট্রেভর জেমস মর্গ্যান জানিয়ে দিলেন, ইস্টবেঙ্গলের বেশির ভাগ ফুটবলারকেই তিনি চেনেন না। এ বছর র্যান্টি-ডংদের খেলাও সে ভাবে দেখেননি।
নববর্ষের বারপুজোর দিন লাল-হলুদ তাঁবুর উৎসবের ভিড় মত্ত ছিল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের বিদায় এবং মর্গ্যানের আবাহন নিয়ে। এই টিম নিয়ে ব্রিটিশ কোচ ফেড কাপে সফল হবেন কী না, তা নিয়েও তাঁবু জুড়ে জল্পনার ঢেউ। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধরা হলে আনন্দবাজারকে লাল-হলুদের নতুন কোচ অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘কোনও কোচ কোনও টুনার্মেন্টে জিতবই বলে কোচিং করতে আসেন না। আসলে এখনকার টিমের চার বিদেশির কাউকে সে ভাবে চিনি না। দু’একজন বাদে ভারতীয় ফুটবলারদের সবার সম্পর্কে জানা নেই। খেলাও দেখিনি। কলকাতায় যাই, টিমের অবস্থা দেখি তার পর বলতে পারব কী হবে। তবে চেষ্টা তো সবাই করে।’’
লাল-হলুদের নতুন কোচ জানাচ্ছেন, সোমবার রাতে অথবা মঙ্গলবার সকালে শহরে আসছেন। তাঁর ভারতে আসার ভিসা রয়েছে। কলকাতায় পৌঁছে মেহতাব হোসেনদের সঙ্গে যাবেন শিলং লাজংয়ের ম্যাচ দেখতেও। মর্গ্যান ফোনে বলে দিলেন, ‘‘ফেড কাপ পাওয়ার চেষ্টা তো করতেই হবে। টুনার্মেন্টের নতুন ফরম্যাটটাও জানি। হোম-অ্যাওয়ে। যদি এই ট্রফিটা জিততে না পারি তা হলে পরের মরসুমে চেষ্টা করতে হবে।’’ কথা বললেই বোঝা যায় তিন বছর আগে চাপের মুখে ছেড়ে যাওয়া কোচ নিশ্চিত সামনের মরসুমে তিনিই দায়িত্ব পাচ্ছেন। সে রকম প্রতিশ্রুতিও পেয়ে গিয়েছেন কর্তাদের কাছে।
কোচ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মোহনবাগানের কর্নেল গ্লেনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফেডারেশনকে চিঠি পাঠাল ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি অ্যাপিল কমিটির কাছে জরিমানা মুকুবের অনুরোধ জানালেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল। বাগানের গ্লেনকে হুমকি দেওয়ার জন্য অর্ণবকে দু’ম্যাচ সাসপেন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফেডারেশন। আজ বারাসতে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে খেলতে পারছেন না তিনি। অর্ণব তো শাস্তি পেলেন, কিন্তু বর্ণবিদ্বেষের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে টুইট করায় বা চিঠি দেওয়ায় বাগানের গ্লেন কী শাস্তি পাবেন? ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘অর্ণব তো শাস্তি পেয়েছে। গ্লেনের কেন শাস্তি হবে না সেটা জানিয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি ফেডারেশনকে। ও তো মিথ্যা অভিযোগ করেছে। ওর-ও শাস্তি হওয়া উচিত।’’
বৃহস্পতিবার তীব্র গরমে ময়দানের বারপুজো অবশ্য তেমন জমেনি। দীর্ঘদিনের ময়দানী প্রথা মেনে প্রধান গেটে ফুল দিয়ে সাজানো থেকে সানাই, মন্ত্রোচ্চারণ, লুচি-মিষ্টি সবই ছিল। তা সত্ত্বেও দুই প্রধানের মাঠে ভিড় ছিল অন্য বারের তুলনায় কম। প্রাক্তন ফুটবলারদের অনুপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিস ছিল বলে ফুটবলাররা প্রায় সবাই ছিলেন। পরের মরসুমের অধিনায়ক রবার্ট পুজো করেন। বাগানের পুরো টিম মায়ানমারে। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে কাতসুমিদের শহরে ফেরার কথা। সে জন্য এ বারের অধিনায়ক শিল্টন পালই বারপুজো করেন। ইউনাইটেড স্পোর্টস, খিদিরপুরের মতো ময়দানের পরিচিত ক্লাবগুলিও ছিল ঐতিহ্যের পুজো ঘিরে জমজমাট। হিন্দমোটোরের জি এস ফুটবল অ্যাকাডেমিতেও বারপুজো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy