বিধ্বংসী রোহিতের সামনে দর্শক কোহালি। বুধবার ওয়াংখেড়েতে। -বিসিসিআই
শেন ওয়াটসনকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে কায়রন পোলার্ডের একটা ছয় আর লং অন ও শর্ট থার্ড ম্যান দিয়ে পরপর দুটো চার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শোনা গেল সেই চেনা গর্জন। হোম টিম জয়ে ফিরল যে।
তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বার হেরে লিগ টেবলে অনেকটা নীচে, ছ’নম্বরে চলে গেল বিরাট কোহালির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রোহিত বনাম বিরাট যুদ্ধেও জিতলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেনই। দিনটা আসলে বিরাটের ছিল না।
শুধু বিরাট কেন, এবি ডেভিলিয়ার্সও যে ভাবে ২৯ রান করে ফিরে যাওয়ার পর দু-দু’বার মিসফিল্ড করলেন, তাতে মনে হচ্ছিল, তাঁরও দিনটা ভাল না।
ক্রিস গেইল দেশে ফিরে গিয়েছেন। টিমে কিছু বদল হওয়া প্রত্যাশিত ছিলই। কিন্তু বিরাট কোহালির বেঙ্গালুরু এ দিন হাফ ডজন বদল করল টিমে। এবং প্রতিটা সিদ্ধান্তই প্রায় বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। তার উপর এ দিন টসটাও হেরেছিলেন বিরাট। ওয়াংখেড়ের কন্ডিশনে এ দুটোই পিছিয়ে দিল বেঙ্গালুরুকে বলে মনে করেন সুনীল গাওস্করের মতো বিশেষজ্ঞরা। টসটা নয় কারও হাতে নেই। কিন্তু দল বাছাইটা তো টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এমন ভুল কী করে করলেন বিরাটরা, সেই প্রশ্ন তোলেন সানি।
গেইলের জায়গায় বিগ ব্যাশ মাতিয়ে আসা অজি ট্রাভিস হেডকে প্রথম এগারোয় রাখলেন কোহালি। এ ছাড়াও পেসার ডেভিড ওয়েসের জায়গায় কেন রিচার্ডসন। কেদার যাদব, পরভেজ রসুলদের জায়গায় কে এল রাহুল, স্টুয়ার্ট বিনি এবং ইকবাল আবদুল্লাহ, বরুণ অ্যারনদেরও এ দিন বদলি হিসেবে নিয়ে আসা হয়। এমনিতেই অ্যাওয়ে ম্যাচ, তার উপর দলে এত পরিবর্তন। আর টসে হার। সব মিলিয়ে আরসিবি যেন শুরু থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যায়।
আর যখন কোহালিদের ১৭০-এ বেঁধে রাখলেন মুম্বই বোলাররা, তখন তো আরওই জয়ে ফেরার সুযোগ ছিল রোহিত শর্মার দলের সামনে। রোহিত ম্যাচের পর স্বীকারও করে নেন, ‘‘বোলাররাই আজ আমাদের অর্ধেক কাজ করে দিয়েছে। এত দিন এই খেলাটাই তো খেলতে চাইছিলাম আমরা।’’
ম্যাচের আগে গুরুসঙ্গ। বুধবার ওয়াংখেড়েতে সচিন-কোহালি। -বিসিসিআই
একটাই আশঙ্কা ছিল। আগের ম্যাচগুলির মতো মুম্বইয়ের ব্যাটিং না ফের ফ্লপ করে। তবে ওয়াংখেড়েতে পরে বল করলে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলাররাই বেশি সমস্যায় পড়েন। এ দিন তা-ই হল। ১৭১-এর টার্গেট ১৮ ওভারেই তুলে নেয় মুম্বই। কোহালি এ দিন ক্যাপ্টেন ও ব্যাটসম্যান হিসেবে যতটা ব্যর্থ, ‘হিটম্যান’ রোহিত ততটাই সফল। তিনটে ছয়-সহ ৪৪ বলে ৬২ করে জয়ের ভিতটা তৈরি করে দিয়ে যান তিনিই। বাকিটা রায়ডু (২৩ বলে ৩১), বাটলার (১৪ বলে ২৮) ও শেষটা পোলার্ড (১৯ বলে ৪০) সামলে নেন। তিনটে ছয় মেরে কাজ হাসিল করা পোলার্ড শেষে বলেন, ‘‘এটা তো করতেই হত। আজ এই ইনিংসটা না খেললে চলতই না।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: আরসিবি ১৭০-৭ (হেড ৩৭, কোহালি ৩৩, বুমরাহ ৩-৩১, পান্ড্য ২-২৭) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৭১-৪ (রোহিত ৬২, পোলার্ড ন.আ ৪০, ইকবাল ৩-৪০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy