আইপিএলের প্লে অফের ওঠার সুযোগ প্রায় নেই সৌরভের দিল্লির। —ফাইল চিত্র
চেন্নাইয়ের পিচে ১৬৮ রানও বড় লক্ষ্য। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জানতেন পিচ মন্থর। তাই আগেই ব্যাট করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। টস জিতে ব্যাট করে ১৬৭ রান তোলে চেন্নাই। দিল্লি ক্যাপিটালস শেষ হয়ে গেল ১৪০ রানে। আইপিএলের প্লে-অফে ওঠা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে গেল দিল্লির জন্য।
চেন্নাই জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইল। দিল্লির দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কোচ রিকি পন্টিং। এক সময় যে দুই অধিনায়কের সমানে সমানে লড়াই হত। এখন তাঁরা হাতে হাত ধরে একই দলের জয়ের জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে দিল্লি আশা জাগাতে পারল না। শুরুতেই টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরে দিল্লি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়, চারটি ম্যাচ জেতে। কিন্তু বুধবার হারায় ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্টেই রইল। বাকি তিন ম্যাচে জিতলেও তারা ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। যা নিয়ে প্রথম চারে থাকা বেশ কঠিন।
ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। ওপেনার ডেভন কনওয়ে মাত্র ১০ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় ধাক্কা খায় চেন্নাই। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় করেন ২৪ রান। তিন নম্বরে নেমে অজিঙ্ক রাহানেও খুব দ্রুত রান তুলতে পারেননি। তিনি ২০ বলে ২১ রান করেন। মইন আলি মাত্র সাত রান করেন। চেন্নাইয়ের প্রথম চার ব্যাটার রান না পাওয়ায় শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। ৭৭ রানের মধ্যে চার উইকেট চলে যায়।
চেন্নাইকে প্রথম ধাক্কাটা দেন অক্ষর পটেল। তিনি প্রথম বলেই কনওয়ের উইকেট তুলে নেন। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। দিল্লির হয়ে খলিল আহমেদ চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। এর মধ্যে প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছিলেন তিনি। ধোনির সামনে পড়ে শেষ ওভারে ২১ রান দেন আহমেদ। মিচেল মার্শ তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। তিনিই দলের সফলতম বোলার।
ধোনি মাঠে নামার আগে চেন্নাইয়ের ছিল ১২৬ রান। তিনি এসেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। মনে হচ্ছিল ১৮০ রানের কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু রবীন্দ্র জাডেজা ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। ধোনিও বড় শট মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। তাতেই ১৬৭ রানে আটকে গেল চেন্নাইয়ের রান।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দেন দীপক চাহার। পরের ওভারে ফিল সল্টকেও আউট করেন তিনি। মিচেল মার্শ অদ্ভুত ভাবে রান আউট হন। ২৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা মণীশ পাণ্ডে ২৯ বলে ২৭ রান করেন। দিল্লিকে দেখে কখনওই মনে হয়নি এই রান তাড়া করতে পারবে। রিলি রুসো ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন। বাকিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৬০ রান। যা কোনও ভাবেই তোলার মতো জায়গায় ছিল না দিল্লি। হেরেই যায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy