বিশ্বকাপের রেফারিদের ঘড়িতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বের যে কোনও ফুটবল ম্যাচে রেফারিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল হাতের ঘড়ি। লাল কার্ড বা হলুদ কার্ড যেমন মনে করে পকেটে ভরতে হয়, তেমনই বাঁ হাতে ঘড়ি পরাও অবশ্যকর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। আগেকার দিনে রেফারিদের ঘড়ি পরতে হত শুধু সময় দেখার জন্য। কালক্রমে এখন সেই ঘড়ির কাজ অনেক বদলে গিয়েছে। প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই উন্নত হয়ে উঠেছে রেফারিদের ঘড়ি। বিশ্বকাপে যারা রেফারিং করছেন, তাঁদের হাতে কী ঘড়ি থাকে? তাঁর মধ্যে প্রযুক্তিই বা কী রয়েছে? জানাচ্ছে আনন্দবাজার অনলাইন।
এ বারের বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভার রেফারি। ছ’জন মহিলা রেফারিও রয়েছেন। তার মধ্যে স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট ম্যাচও খেলিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেক রেফারিকেই এই বিশেষ ঘড়ি দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই রেফারিদের ঘড়ি সরবরাহ করে সুইৎজ়ারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট। বাজারচলতি যে সব দামি স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়, এই ঘড়িগুলিতে তার থেকেও বেশি প্রযুক্তি রয়েছে। যে তথ্য দরকার সবই ঘড়িতে পেয়ে যাবেন রেফারিরা। এই ঘড়ির দাম ৫,৪৮০ ডলার (প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা)। ৪৪ মিমি ডায়াল সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের হয়। স্ট্র্যাপে রয়েছে কাতারের পতাকা। তবে কোনও রেফারি চাইলে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের যে কোনও একটির পতাকা আঁকাতে পারেন।
ঘড়িতে রয়েছে বিভিন্ন চিপ, যার মধ্যে তথ্য পাঠানো হতে থাকে প্রতি মুহূর্তে। বল গোল লাইন পেরোলে, অফসাইড হলে, ভারের রেফারিরা কোনও নির্দেশ দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি কেঁপে (ভাইব্রেট) ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বুঝতে পেরে যান। প্রয়োজনে তিনি খেলা থামিয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া কোনও ফুটবলারের সম্পর্কে তথ্যের দরকার হলে সেটাও পেতে পারেন রেফারি।
বিশ্বকাপের রেফারিদের জন্য এই ঘড়ি উপহার দেওয়া হচ্ছে কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথিদেরও। মোট ১০০০টি ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে। প্রাক্তন ফুটবলার লুইস ফিগো, মার্সেল দেসাই এই ঘড়ি পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য এখনও বাজারে আনা হয়নি এই ঘড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy