বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর কিলিয়ান এমবাপে। ছবি রয়টার্স।
বিশ্বকাপে উল্কার গতিতে ছুটঠেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই ১২ গোল করে ফেলেছেন তিনি। তাঁর সামনে রয়েছেন আর মাত্র পাঁচ জন। যে গতিতে এমবাপে এগোচ্ছেন তাতে হয়তো পরের বিশ্বকাপেই সবাইকে ছাপিয়ে যাবেন তিনি। হবেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথম বার খেলতে নেমে চারটি গোল করেছিলেন এমবাপে। এ বার তিনি করেছেন ৮টি গোল। বিশ্বকাপে গোলদাতাদের তালিকায় পেলের সঙ্গে যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি। তাঁর ঠিক উপরেই রয়েছেন লিয়োনেল মেসি ও ফ্রান্সেরই জাঁ ফঁতে। তাঁদের গোল সংখ্যা ১৩। জার্মানির গার্ড মুলারের রয়েছে ১৪টি গোল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলেন রোনাল্ডো নাজারিয়ো। তিনি ১৫টি গোল করেছেন। শীর্ষে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজে। তাঁর গোলের সংখ্যা ১৬টি।
অর্থাৎ, ক্লোজের নজির ভাঙতে হলে পরের বিশ্বকাপে আর পাঁচটি গোল করতে হবে এমবাপেকে। তাঁর বয়স এখন মাত্র ২৩। এখনও অন্তত তিনটি বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। যে ভাবে হাসতে হাসতে তিনি গোল করছেন তাতে কোথায় গিয়ে থামবেন কে জানে।
এ বারের বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এমবাপে। গত বার বিশ্বকাপের ফাইনালে করছিলেন একটি গোল। দেশ জিতেছিল বিশ্বকাপ। এ বারের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পরে দ্বিতীয় বার কোনও ফুটবলার ফাইনালে এই কীর্তি করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ফুটবল খেললেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হল এমবাপেকে। খেলার জন্য নায়কের মর্যাদা পেলেও বিশ্বকাপ জেতা হল না। এ বারের বিশ্বকাপে ৮ গোল করে সোনার বুট এমবাপের দখলে। কিন্তু তার পরেও চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে একাই দাপিয়ে বেড়াবেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই বিশ্বের সেরাদের তালিকায় ঢুকে পড়লেন এমবাপে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy