—ফাইল চিত্র।
আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে ড্যানিয়েল সাইরাসকে খেলাতে চান কিবু ভিকুনা। চোটের জন্য ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর দীর্ঘদেহী স্টপার শেষ দু’টি ম্যাচ মাঠে নামতে পারেননি। ঝুঁকি নেননি স্পেনীয় কোচও। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ফ্রান গঞ্জালেসের সঙ্গে সাইরাসকে খেলানো ছাড়া উপায় নেই তাঁর। ক্লাব সূত্রের খবর, সাইরাসের যা অবস্থা তাতে খেলতে কোনও সমস্যা নেই।
সবুজ-মেরুন রক্ষণে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ বলে যাঁকে ধরা হচ্ছে, সেই ফ্রান মোরান্তে চারটি হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। মঙ্গলবার তিনি খেলতে পারবেন না। কিবু অবশ্য সাইরাসকে খেলানো নিয়ে কিছু বলেননি। বৃহস্পতিবার ম্যাচের পরে বলে দিয়েছেন, ‘‘মোরান্তের না থাকা নিয়ে ভাবছি না। সাইরাস সুস্থ হয়ে উঠছে। হাতে এখনও তিন দিন সময় আছে। ম্যাচের দিন ঠিক করব কাকে নামাব। তবে এটা বলছি, মোহনবাগান জার্সিতে ১১ জন খেলবে।’’
চেন্নাই সিটি এফসি-র সঙ্গে ড্র করার পরে লিগ টেবলের যা পরিস্থিতি, তাতে সোজা অঙ্কে পাঁচ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট দরকার জোসেবা বেইতিয়াদের। সোমবার ইস্টবেঙ্গল বনাম রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচে কাশ্মীর পয়েন্ট নষ্ট করলে আরও সুবিধে পেয়ে যাবেন ফ্রান গঞ্জালেসরা। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলেও কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কিবু। ১৫ মার্চ ডার্বির আগে তাই জয়ে ফিরতে চাইছেন তিনি। কিবুর সুবিধে, কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরছেন কোমরান তুর্সুনভ। যার অর্থ স্ট্যানলি রোজারিয়োর আইজলের দলের বিরুদ্ধে পাঁচ বিদেশিতে সম্ভবত নামবে মোহনবাগান।
শুক্রবার কোনও অনুশীলন ছিল না মোহনবাগানের। ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন কিবু। নিজে অবশ্য আইজল ম্যাচের রণনীতি তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন। চেন্নাই ম্যাচের ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভিডিয়ো অ্যানালিস্টের সঙ্গে কথা বলেন। আজ অন্য ম্যাচের মতোই মাঠে নামার আগে যা নিয়ে আলোচনা করবেন বেইতিয়া, ব্রিটো, আশুতোষ মেহতাদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে শেখ সাহিলের সঙ্গে মাঝমাঠে বেইতিয়ার মধ্যে অনেকখানি দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। সেই সুযোগটা নিয়েছে আকবর নওয়াসের দল। ভিডিয়ো অ্যানালিস্ট সে রকমই জানিয়েছেন কোচকে।
বরাবরই যে দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন তাদের কয়েকটি ম্যাচের ভিডিয়ো ক্লিপিংস নিয়ে কাঁটাছেড়া করেন কিবু। সেটা দেখেই তৈরি করেন ম্যাচের আগে অনুশীলনের সূচি। পকেট থেকে বারবার কাগজ বার করে ফুটবলারদের অনুশীলন করান তিনি। চেন্নাই ম্যাচ ড্র হয়েছে বলে অবশ্য তিনি চিন্তিত নন। বলেছেন, ‘‘মোহনবাগানের পর চেন্নাই-ই সেরা। ড্রেসিংরুমে আমি ফুটবলারদের ম্যাচের আগে সতর্ক করেছিলাম যে, জেতা সহজ হবে না। আমরা প্রথমার্ধে ভাল খেলতেও পারিনি।।’’ এক ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘পাঁচ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট চাই। চাপের কী আছে? ডার্বির আগে আইজল ম্যাচ জিতলে খেতাব মুঠোয় এসে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy