Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
বিপর্যয়ের পরে ভাঙন অস্ট্রেলিয়ার সংসারে

ব্যাগি গ্রিন সাম্রাজ্যের পতন দেখছেন লারা

টেস্টে টানা হারের লজ্জার সঙ্গে তুমুল সমালোচনার কষাঘাতে জর্জরিত স্টিভন স্মিথরা। দেশজ মিডিয়া, প্রাক্তন ক্রিকেটার, সমর্থকরা তো ছিলেনই এ বার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার নামটাও।

স্মিথ-মার্শ: ভেঙে গেল জুটি।

স্মিথ-মার্শ: ভেঙে গেল জুটি।

সংবাদ সংস্থা
সিডনি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:৩০
Share: Save:

টেস্টে টানা হারের লজ্জার সঙ্গে তুমুল সমালোচনার কষাঘাতে জর্জরিত স্টিভন স্মিথরা। দেশজ মিডিয়া, প্রাক্তন ক্রিকেটার, সমর্থকরা তো ছিলেনই এ বার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার নামটাও।

লারা বলেছেন, প্রতিপক্ষের মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাটা হারিয়ে ফেলেছেন অজি ক্রিকেটাররা। এই ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’ না থাকার পাশাপাশি লারা সতর্ক করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের হাল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো নেমে যায়! ‘‘ফিয়ার ফ্যাক্টরটা আর নেই। ২৫ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটেও এমনই হয়েছিল,’’ বলেছেন লারা। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘১৯৯৫-এ অস্ট্রেলিয়া আমাদের ঘরের মাঠে হারানোর পর থেকেই বাকিরাও প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের ভয় পাওয়া বন্ধ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের এখনকার পরিস্থিতি বোধহয় সে রকমই।’’

আবার টানা পাঁচ টেস্ট হারের পর অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান রড মার্শ ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা আমার সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দেয়নি। এটা পরিষ্কার যে এখন সময় হয়েছে টাটকা চিন্তা-ভাবনার। যেমন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এটাই সময় আমাদের টেস্ট দলে কিছু নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়ার।’’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, রড মার্শের পরিবর্তে আপাতত কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা ঠিক করতে দ্রুত বৈঠকে বসবে বোর্ড।

অস্ট্রেলিয়ার চার সদস্যের নির্বাচক প্যানেলে এখন আছেন মার্ক ওয়, ট্রেভর হনস ও কোচ ডারেন লেম্যান। যে প্যানেল আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছিল। হোবার্ট টেস্টে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৩২ রানে আট উইকেট হারিয়ে ইনিংস ও ৮০ রানে হারার পর যে সমালোচনার মাত্রা এখন চরমে পৌঁছে গিয়েছে। চলতি সিরিজের শেষ টেস্ট অ্যাডিলেডে। বিপর্যয়ের ধাক্কায় অ্যাডিলেড টেস্টের দল নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে রবিবারে। যাতে নির্বাচকরা দল বেছে নেওয়ার আগে ক্রিকেটারদের ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে দেখে নেওয়ার সুযোগ পান।

শুধু সমালোচনাই নয়, সঙ্গে বিতর্কও আছে। হোবার্ট টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যাপ্টেন বল বিকৃত করেছেন কি না তা নিয়ে বিতর্ক। টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যাপ্টেন ফাফ দু’প্লেসি মুখে লজেন্স (ললি) থাকা অবস্থায় বলের চকচকে ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। মুখের লালা বলের উপর ঘষে। আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী বলের স্বাভাবিক অবস্থা বদলানোর জন্য কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা যায় না। আইসিসি তাই ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যাপ্টেন আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy