চিন্তা বাড়লেও এখনই হাল ছাড়ছেন না লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র
দ্বিতীয় দিনের শেষে রঞ্জি ফাইনালে ১৪৩ রানে পিছিয়ে বাংলা। সারা দিনে মাত্র ৩ উইকেট তুলতে পারলেন বাংলার বোলাররা। তৃতীয় দিনে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে বিশ্বাস হচ্ছে না কারও। এমন অবস্থায় হাল ছাড়তে রাজি বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। খেলোয়াড় জীবনে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আওয়াজ করকে খেলো।” কোচ লক্ষ্মী সেই হুঙ্কার না দিলেও লড়াই করার কথা বললেন।
শুক্রবার সকালের শুরুতেই উইকেট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলার। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু মুখের কথা, কাজে করে দেখাতে পারলেন না তাঁরা। বাংলার বোলারদের বলে কোনও আক্রমণ ছিল না। ফিল্ডারদের মধ্যে গা ছাড়া ভাব। বাংলা ম্যাচটা শেষ হওয়ার আগেই হেরে বসে রয়েছে? লক্ষ্মী বললেন, “এখনও তো তিন দিন খেলা বাকি। সবে তো দু’দিনের খেলা হয়েছে। শনিবারের প্রথম সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা ১৪৩ রানে এগিয়ে আছে। ওদের তাড়াতাড়ি আউট করতে হবে। এখনও অনেক সময় রয়েছে। আমরা ফিরবই।”
শুক্রবার বাংলার হয়ে আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমার বোলিং শুরু করেছিলেন। সৌরাষ্ট্রের দুই ব্যাটার হারভিক দেসাই এবং রাতপ্রহরী হিসাবে ব্যাট করতে নামা চেতন সাকারিয়া দিনের প্রথম ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে দেন। কোনও তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়নি তাঁদের। প্রথম সেশনে উইকেট প্রয়োজন ছিল বাংলার। কিন্তু সেই সেশনে মাত্র ২ উইকেট নেয় তারা। সারা দিনে মাত্র ৩ উইকেট তুলতে পারেন আকাশ দীপরা। বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে অনায়াসে খেলে গেলেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটাররা।
রঞ্জি ফাইনালে সৌরাষ্ট্র ভাল জায়গায় থাকলেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে নারাজ তাদের কোচ নীরজ ওদেদরা। তিনি বলেন, “আমাদের এখনও অনেকটা ব্যাট করতে হবে। শনিবার মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত তো অবশ্যই, সব থেকে ভাল হয় তার পরেও ব্যাট করতে পারলে। প্রথম দিনের থেকে পিচ অনেক বেশি ব্যাটারের পক্ষে হয়েছে। মনে হয় শনিবার আরও বেশি করে ব্যাটিং সহায়ক হবে। ভারতের বেশির ভাগ উইকেটই এমন। এখনও তিন দিনের খেলা বাকি। কে জিতবে এখনই বলা মুশকিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy