ত্রিমূর্তি: বাংলাকে অনূর্ধ্ব-২৩ সি কে নাইডু ট্রফির ফাইনালে ওঠানোর তিন নায়ক। (বাঁ দিক থেকে) অনন্ত, শুভম ও অভিমন্যু। ইডেনে। নিজস্ব চিত্র
দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। অনূর্ধ্ব-২৩ সি কে নাইডু ট্রফির সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসে পিছিয়েও বিদর্ভকে সরাসরি হারিয়ে ফাইনালে বাংলা। সৌজন্যে বাংলার পেস-জুটি অনন্ত সাহা ও শুভম সরকার। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১২টি উইকেট তাঁদের ঝুলিতে। প্রথম ইনিংসে তিন শিকারের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে অনন্ত নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচে চার উইকেট শুভমের।
তৃতীয় দিন চা-বিরতির পরে বাংলার ড্রেসিংরুমের চেহারা বদলে গিয়েছিল। বিদর্ভের ৩৫১ রানের জবাবে ৩৪৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলার প্রথম ইনিংস। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ড্র হলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা দলকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। বাংলার সামনে ফাইনালে ওঠার একটিই রাস্তা ছিল। কম রানে বিপক্ষকে অলআউট করে সেই রান তাড়া করে জেতা। সৌরাশিস লাহিড়ীর ছেলেরা সেই কাজটিই করে দেখালেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ইনিংসে বিদর্ভকে ১১১ রানে অলআউট করে বাংলা। ১১৫ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলা জেতে আট উইকেটে। অপরাজিত ৫২ রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। ৪৪ রান করেন ওপেনার সুদীপ ঘরামি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এত দিনের পরিশ্রম কখনও বিফলে যেতে পারে না। আমরা কেউ ফাঁকি দিইনি। আমাদের উপরে সবার আস্থা ছিল। সেই আস্থার মর্যাদা দিয়েছি আমরা।’’ যাঁদের দাপটে বিপক্ষকে কম রানে আটকে দিল বাংলা, সেই অনন্ত ও শুভম দু’জনেই তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। দু’জনেরই ছোটবেলার কোচ সমীর চক্রবর্তী। প্রাক্তন বাংলা পেসার শিবশঙ্কর পালের হাত ধরে কলকাতায় খেলতে আসা তাঁদের। অনন্ত বলছিলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে এক সঙ্গে খেলছি। আমি আউটসুইং বল করি, শুভম দু’টোই করতে পারে। ম্যাকোদার (শিবশঙ্কর) কাছে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে আরও ভাল করে সুইং রপ্ত করতে পেরেছি। এখন সেটাই আমার অস্ত্র।’’
বাংলার এই জয়ের নেপথ্যে আরও একজনের অবদান রয়েছে। তিনি অধিনায়ক ঋত্বিক। তৃতীয় দিনে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন অনন্ত। শেষ দিন আদৌ তিনি নামতে পারবেন কি না, ঠিক ছিল না। অনন্তকে সুস্থ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন অধিনায়ক। ইডেনের ডর্মিটরিতে থাকতে না দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান অনন্তকে। মঙ্গলবার সেই অনন্তই বাংলাকে পাটিয়ালার টিকিট নিশ্চিত করে দিলেন। আগামী সোমবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফাইনাল। অনন্ত বলছিলেন, ‘‘ঋত্বিক আমাকে সাহায্য না করলে হয়তো ম্যাচে নামতে পারতাম না। আমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পায়ে বরফ দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy