Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মহারাষ্ট্র জেতায় বিদায় বাংলার

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফি সোমবারই শেষ হয়ে গেল বাংলার কাছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে ট্রফি নিয়ে ফেরার আশাও শেষ মনোজ তিওয়ারির দলের।

মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।

মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৯
Share: Save:

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফি সোমবারই শেষ হয়ে গেল বাংলার কাছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা থেকে ট্রফি নিয়ে ফেরার আশাও শেষ মনোজ তিওয়ারির দলের। কারণ, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে হারতেই হত মহারাষ্ট্রকে। কিন্তু সোমবার সে ম্যাচে বরুণ অ্যারনের দলকে ১৪ রানে হারিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র।

নিয়ম অনুযায়ী নেট রান রেট দেখার আগে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল দেখা হচ্ছে মুস্তাক আলি ট্রফিতে। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে হেরেছিল বাংলা। তাই মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছে মনোজ তিওয়ারির দল। সে ক্ষেত্রে আজ, মঙ্গলবার গুজরাতের বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।

মুস্তাক আলিতে বাংলার বিদায়ের দিনই অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ওয়ান ডে-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা। মরসুমে দু’টি ট্রফি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে এনে দিল বাংলার মহিলা ক্রিকেট দল। সিনিয়র ওয়ান ডে-তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিলেন ঝুলন গোস্বামীরা। তার পরেই অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতায় সাফল্য। বাংলার মেয়েদের এই পারফরম্যান্স নিয়ে মুগ্ধ বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার নিয়ম নিয়ে। সোমবার সন্ধ্যায় ইনদওর থেকে ফোনে বাংলার কোচ বললেন, ‘‘আমরা যেখানে মরসুমে একটি ট্রফিও দিতে পারিনি, সেখানে ওরা দু’টি ট্রফি এনে দিয়েছে। ওরাই তো আমাদের ভাল খেলার পথ দেখাচ্ছে। আগামী মরসুমে বাংলার মেয়েরাই আমাদের অনুপ্রেরণা।’’

প্রতিযোগিতার নিয়ম নিয়ে অরুণের বক্তব্য, ‘‘যদি নেট রান রেটের ভিত্তিতে দেখা হত, তা হলে কাল আমরা বড় ব্যবধানে জিতলে একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা যে হচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতায় আমরা খারাপ খেলিনি। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে টস হারাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। উইকেটে ছিল স্যাঁতসেঁতে ভাব। সেই পিচে আমাদের ব্যাট করতে পাঠানো হয়। ছেলেরা চেষ্টা করলেও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। যাই হোক, আগামী মরসুমে আশা করি এই দলই আমাদের গর্বিত করে তুলবে।’’

বর্তমানে সুপার লিগে গ্রুপ ‘এ’-র পরিস্থিতি এ রকম। তিন ম্যাচ খেলে মহারাষ্ট্রের পয়েন্ট ১২। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলার পয়েন্ট ৮। মঙ্গলবার গুজরাতের বিরুদ্ধে বাংলা জিতলে তাদেরও পয়েন্ট দাঁড়াবে ১২। অন্য দিকে মহারাষ্ট্র রেলওয়েজের বিরুদ্ধে হারলে তারাও ১২ পয়েন্টে থাকবে। তখনই দেখা হবে মুখোমুখি ফল। যা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেবে বাংলাকে। অধিনায়ক মনোজ বলছিলেন, ‘‘ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। না হলে এই অবস্থা হত না। হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ায় কষ্ট অন্য রকম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে নামার আগেই আমাদের আশা শেষ হয়ে গেল।’’

বাংলা দলের বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল যে, প্রতিযোগিতার নিয়ম সম্পর্কে সে ভাবে নিশ্চিত ছিলেন না তাঁরা। দলীয় সূত্রে খবর, বিকেলে বৈঠকে দলের সদস্যেরা জানতে পারেন যে, প্রতিযোগিতা থেকে তাঁরা ছিটকে গিয়েছেন। অরুণ যদিও বলেছেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলাম।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy