রবিবার রাতে। ছবি: এএফপি।
এশিয়া কাপে সেরার শিরোপা টাইগার্সদের মাথায় উঠল না ঠিকই, কিন্তু রবিবারসরীয় রাতে মাশরাফিদের পারফরম্যান্সে দর্শক থেকে মিডিয়া সকলেই বাহবা দিয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই নাটক। উত্তেজনায় টগবগ করা গোটা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মাথার উপর হঠাত্ই কালো মেঘ। তার পর ঝড়-বৃষ্টি সবই হল। একটা সময় ম্যাচ হওয়া নিয়ে সংশয়ও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু, সেটা হতে দেয়নি বিসিবি। ম্যাচের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, ম্যাচ রেফারিরা পাঁচ ওভার করে কমিয়েও দেন। কিন্তু ম্যাচ পরিচালনা করে বিসিবি দেখিয়ে দিল এ রকম অবস্থার সামাল দিতে তারা প্রস্তুত।
বাংলাদেশ জুড়ে এখন একটাই কথা ‘লড়াই তো হয়েছে’! যেমন প্রথম আলোয় লেখা হয়েছে, কালকের ম্যাচে একটাও বল খেলা না হলে দু’দলই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হতো। কিন্তু এই রাজ্য ভাগাভাগি হওয়ার চেয়ে লড়াই করে হারার মধ্যে রয়েছে অনেক গৌরব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার্সরা যে এশিয়ার দ্বিতীয় দল হিসাবে উঠে এটাই তো বড় প্রাপ্তি।
আবার বাংলা ট্রিবিউনে লেখা হয়েছে, তামিম আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরই রান রেট কিছুটা স্লো হয়ে পড়ে। মাঝপথে সে ভাবে রান তুলতে পারেনি। কিন্তু শেষ তিন ওভারে যে ভাবে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছে মাহমুদুল্লা, তা অকল্পনীয়। এর পরেও কিন্তু বলা উচিত বাংলাদেশ খারাপ ব্যাটিং করেছে। তবে অভিজ্ঞতার কাছে যে টাইগার্সরা হেরেছে সেটাও লেখা হয়েছে এই সংবাদমাধ্যমে।
খেলা হয়ে গিয়েছে। ভারত শিরোপা পেয়েছে। তবে জিতেছে কিন্তু বাংলাদেশেই। আবেগ এবং প্রচেষ্টায়। মাশরাফিদের মনে কষ্ট হচ্ছে। গোটা দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েও সেটা পূরণ করতে না পেরে। কিন্তু এখন আর সময় নেই তা নিয়ে আক্ষেপ করার। চুলচেরা বিশ্লেষণ করার। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাশরাফিদের এখন লক্ষ্য সে দিকেই। ম্যাচ জিততে পারেননি বলে সতীর্থদেরও দোষ দেননি মাশরাফি। বরং উত্সাহ দিয়েছেন। সামনের বিশ্বকাপে আরও উজ্জীবিত হওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy