অনিশ্চিত: ভারতের স্ট্র্যাটেজিতে জায়গা নেই অশ্বিনের। ফাইল চিত্র
পাক-বধের পরে বিরাট কোহালির ভারত পাচ্ছে নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দলকে। দু’দলের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে দুই প্রতিবেশিকে হারিয়ে উপমহাদেশের স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলার সুযোগ থাকছে ভারতের সামনে।
কোহালির ভারতের সমস্যা আধিক্যের। এমনই রমরমা চলছে ভারতীয় বোলিংয়ের যে, মহম্মদ শামি এবং আর. অশ্বিনের মতো সিনিয়র এবং সফল বোলারকে তারা প্রথম একাদশে খেলাতে পারছে না। অথচ, সমস্ত বিশ্ব মানের টুর্নামেন্টে বরাবর বোলারদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয়েছে সব যুগের ভারত অধিনায়কদের। আজহারউদ্দিন থেকে সচিন। সৌরভ থেকে ধোনি। সকলে উদ্বিগ্ন থেকেছেন বোলিং নিয়ে।
বাইরের জগতের কাছে কোহালির জন্য বেশি কঠিন সিদ্ধান্ত অশ্বিনকে না খেলানো হতে পারে। যে হেতু কোহালির পরে চেন্নাই স্পিনারই সবচেয়ে সফল এবং ধারাবাহিক ক্রিকেটার। নানা মহল থেকে এমন দাবিও উঠেছে যে, অজিঙ্ক রাহানে নন, অশ্বিনেরই সহ-অধিনায়ক হওয়া উচিত। দলের এমন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বসানো মানেই বিতর্কের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে।
লন্ডনে বাড়তি নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকা ভারতীয় দলের মধ্যে এখনও সে রকম কোনও স্ফুলিঙ্গের খোঁজ নেই। বরং গত কাল রাতে বিরাট কোহালির চ্যারিটি ডিনারে উপস্থিত ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অশ্বিনও ছিলেন। এজবাস্টনে পাকিস্তান ম্যাচে হাসিমুখে দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকাও পালন করেছেন অশ্বিন। মাঠে একাধিকবার তাঁকে জল নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। মোটামুটি ধরেই রাখা যায়, ওভালেও খেলছেন না দেশের সেরা স্পিনার।
সংশয়: শামি কবে ফিরবেন চূড়ান্ত এগারোয়, প্রশ্ন থাকছে। ফাইল চিত্র
এজবাস্টনে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মোড় ঘোরানো বোলিং করেছিলেন অশ্বিন। এ বার সেখানেই প্রথম ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা না পাওয়াটা নিশ্চয়ই তাঁকে খুব আনন্দিত করছে না। আবার ক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তেমনও নয়। আপাতত স্পোর্টিং স্পিরিট দেখিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তকে মেনেই নিচ্ছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের কিছু করারও ছিল না অশ্বিনকে বসানো ছাড়া। এক জন ব্যাখ্যা দিলেন, ‘‘রবীন্দ্র জাডেজাকে সীমিত ওভারে বসানো যায় না। ও ব্যাট করবে, বল করবে, দারুণ ফিল্ডিংও করে দেবে। আগের দিন দুর্ধর্ষ রান আউটও করেছে।’’
হার্দিক পাণ্ড্য সফল হওয়ায় আরও বেশি করে অশ্বিনের আকাশ মেঘলা হয়ে উঠেছে। ওভালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাঁকে খেলানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এ ব্যাপারে অশ্বিনের ভাগ্য যেন তাঁদের হেড কোচ অনিল কুম্বলের মতোই হয়ে উঠল। ২০০৩ বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রথম একাদশে এক জন স্পিনারকে খেলানো হচ্ছিল। সেই একমাত্র স্পিনার ছিলেন হরভজন সিংহ। সিনিয়র হয়েও বাইরে বসতে হয়েছিল কুম্বলেকে। তা নিয়ে তিনি তখন খুব প্রসন্ন হয়েছিলেন বলে শোনা যায়নি।
ভারতীয় শিবিরে খোঁজ নিয়ে যদিও মনে হল, অশ্বিন নন। দলের মধ্যে মনস্তাপ চলছে মহম্মদ শামিকে খেলানো যাচ্ছে না বলে। শামি চোট সারিয়ে সবে ফিরলেও ইংল্যান্ডে আসার পর থেকে দুর্দান্ত বল করে গিয়েছেন। পাকিস্তান ম্যাচে তবু তাঁকে খেলানো যায়নি কারণ বাকি তিন জন দারুণ ফর্মে থাকায়। ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব, যশপ্রীত বুমরা— তিন পেসারই পাক ম্যাচে ভাল বল করেছেন। হার্দিক এবং জাডেজা পুরো কোটা বল করেছেন। শামিকে এর মধ্যে কোথায় ঢোকানো হবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy