বলা হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ‘সেলফি’। যে ছবি টুইট করে যুবরাজ সিংহ লিখেছেন, ‘দেখা যাক এটা অস্কারের রেকর্ড ভাঙে কি না!’
শেন ওয়ার্নকে সঙ্গে নিয়েই লর্ডসের সবুজ গালিচায় নেমে পড়লেন সচিন তেন্ডুলকর। কে বলবে, রাত পোহালে এই ওয়ার্নের দলের বিরুদ্ধেই নামবেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি?
ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর কেটে গিয়েছে সাড়ে ছ’মাস। দেশে-বিদেশে ক্রিকেট সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁকে দেখা গেলেও বাইশ গজে দেখা যায়নি তাঁকে। ফের ব্যাট হাতে চেনা সচিনকে দেখার আর্তি বারবার ভেসে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এত দিনে সেই অপেক্ষার অবসান হবে। শনিবার এমসিসি একাদশ নিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে নামবেন তিনি। উল্টো দিকে ওয়ার্নের নেতৃত্বাধীন অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ। উপলক্ষ লর্ডসের দু’শো বছর পূর্তি। সচিনের টিমে যেমন লারা, দ্রাবিড়, চন্দ্রপল, ব্রেট লি, ভেত্তোরি, শন টেট, আজমলরা। অন্য দিকে ওয়ার্ন পাচ্ছেন গিলক্রিস্ট, সহবাগ, পিটারসেন, মুরলীধরন, যুবরাজ, আফ্রিদি, কলিংউড, সিডলদের। তারকার মেলায় পঞ্চাশ ওভারের জমজমাট লড়াই।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম প্যাড-আপ করে ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন। তাও আবার লর্ডসে। সচিন বললেন, “লর্ডস আমার কাছে বরাবরই স্পেশাল। যদিও এখানে প্রায়ই আসি আমি। ছেলের সঙ্গে নেটে প্র্যাকটিস করি। তবে লর্ডসে ম্যাচ খেলাটা বিশেষ ব্যাপার বইকী।” ১৪ বছর বয়সে লর্ডসে নামার স্মৃতিচারণ করে সচিন বলেন, “আমরা টিমের ছবি তোলার জন্য দাঁড়ানোর সময় গ্রাউন্ডসম্যান এগিয়ে এসে লনের উপর দিয়ে হাঁটতে বারণ করেছিলেন।” আর ১৯৯০-এ এই লর্ডসেই ক্যাচ ফস্কানোর কথা মনে করিয়ে দিতে হেসে বললেন, “সে বার হয়েছিল, কাল হবে না। সত্যিই এখানে এলে অনেক কিছু মনে পড়ে।”
ক্রিকেট যাঁর জীবন, তিনি এতগুলো মাস ক্রিকেট মাঠের বাইরে। সারা দুনিয়ায় সচিনের ভক্তরা অধৈর্য হয়ে পড়লেও সচিন কিন্তু ক্রিকেটহীন জীবন উপভোগ করছেন বলেই জানালেন। “অবসর ঘোষণার পর থেকে কিন্তু ক্রিকেটকে তেমন মিস করিনি। পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি। এখানে আসার দশ দিন আগে ফের ব্যাট হাতে তুলেছি। বেশ উপভোগ করছি”, শুক্রবার সকালে প্র্যাকটিসের পর বলছিলেন সচিন।
ভারতের আসন্ন ইংল্যান্ড সফর নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও শনিবার লর্ডসে একটা সেঞ্চুরি হবে কি না, এই প্রশ্নে বললেন, “১৯৯৯-এ এই মাঠে একটা সেঞ্চুরি ছিল আমার। কাল কিন্তু কোনও সেঞ্চুরির চাপ নেই। ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।”
পাশে বসা ওয়ার্নের বক্তব্যও একই রকম। এক সময় সচিনের হাতে প্রচুর মার খাওয়া অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি বললেন, “সচিনকে বল করা মানেই বিশেষ মুহূর্ত। এখানে দারুণ একটা ম্যাচ যেমন হবে তেমন একটা ভাল গেট টুগেদারও হবে। মাঠে কিন্তু একে অপরকে হারানোর জন্যই নামব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy