রবীন্দ্র জাডেজা।
আসন্ন মেলবোর্ন টেস্টের জন্য পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। রবিবার রাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে এ কথাই বলা হয়েছে।
বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জাডেজার বাঁ কাঁধে ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে। ও এখন সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় আছে।’’ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে টানা অনেক ওভার বল করার পরে কাঁধের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন জাডেজা। এর পরে তাঁর চিকিৎসা হয়। কাঁধে ইঞ্জেকশনও নিতে হয়। যার পরে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যান এই বাঁ হাতি স্পিনার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় আবার সমস্যা দেখা দেয় জাডেজার কাঁধে। বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পার্থ টেস্টের আগে জাডে়জা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, এই অলরাউন্ডারকে প্রথম এগারোয় রাখা হবে না।’’ যে কারণে জাডেজাকে দলের বাইরেই থাকতে হয়।
হ্যারিসের দাবি: কী রকম হতে পারে মেলবোর্নের বাইশ গজ? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া দুই শিবিরে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার মার্কাস হ্যারিস সতর্ক করে দিচ্ছেন, মেলবোর্নের পিচে ঘাস থাকলেও তা দেখে যেন কেউ বোকা না বনেন। হ্যারিসের মতে, মেলবোর্নের পিচে ধৈর্য ধরে পড়ে থাকলে রান আসবেই।
শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়া আর নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে ম্যাচের উদাহরণ দিয়ে হ্যারিস বলেছেন, ‘‘ওই ম্যাচের আগের দিন মেলবোর্নের পিচ দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আড়াই দিনে ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। আর ওই ম্যাচে এমন কয়েক জন ক্রিকেটার খেলছিল, যারা জাতীয় দলের ছাড়পত্র পাওয়ার লড়াইয়ে ছিল। আমি কোনও কিছুর প্রত্যাশা না করেই খেলতে নামি।’’ ওই ম্যাচে অপরাজিত ২৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হ্যারিস। ‘‘ব্যাট করতে নেমে বুঝলাম, পিচটা বেশ মন্থর। আর পরের দিকে ভেঙেও যায়নি,’’ বলেন তিনি।
এ বারের মেলবোর্নের পিচ দেখে কী মনে হচ্ছে? হ্যারিস বলেছেন, ‘‘আজ সকালে পিচটা দেখলাম। একটু সবুজ ঘাস আছে। অনেকটা সেই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের মতো। শুরুর দিকে বল একটু মুভ করবে বলেই মনে হয়। এটা সে রকম পিচ, যেখানে ধৈর্য ধরে পড়ে থাকলে রান আসবে, আবার ভাল বল করলে উইকেট তোলাও যাবে।’’ মেলবোর্নে সফল হওয়ার মন্ত্র যে ধৈর্য, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন হ্যারিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy