বকেয়া টাকা না মেলায় বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিউড়ি সদর হাসপাতালে বন্ধ ছিল নিশ্চয়যান। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় বুধবার রাত ১২টা থেকে সিউড়িতে ‘নিশ্চয়যান’ চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা। এই নিয়ে সিউরি সদর হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালের সুপার অসিত বিশ্বস বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চলাচল করা নিশ্চয়যান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে তিনি মালিকদের আশ্বাস দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারপরই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই নিশ্চয়যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অসিতবাবু বলেন, “আমার এখানে যে কটি নিশ্চয় যান চলে, মালিকদের ডেকে তাঁরা যাতে গাড়ি তুলে না নেন সে ব্যাপারে বোঝানো হয়েছে। যেখান থেকে হোক টাকা জোগাড় করে তাঁদের মিটিয়ে দেওয়া হবে।” কিন্তু জেলার অন্যান্য যায়গায় চলাচল করা নিশ্চয়যান মালিকদের বকেয়া টাকার কী হবে? তা জানতে এ দিনই মালিকেরা জেলা স্বাস্থ্যদফতরে যান। কিন্তু সেখানে কোনও আধিকারিকের দেখা মেলেনি। এরপরই নিশ্চয়যান সমিতির জেলা সভাপতি কাঞ্চন মণ্ডল বলেছেন, “বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে আমরা আগামী সোমবার জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাব। তাতেও যদি সমস্যা না মেটে তা হলে নিশ্চয়যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।” বীরভূমে জননী সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে নিশ্চয়যান চালু হয় ২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে। ওই প্রকল্পে জেলায় ১০৯টি আম্বুল্যান্স বরাদ্দ হয়। ওই আয়ম্বুল্যান্সগুলি ১৯টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং দুটি মহকুমা এবং একটি সদর হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। শর্ত ছিল জেলা স্বাস্থ্যদফতর থেকে ১৫দিন অন্তর মালিকদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাস থেকে এই মাস পর্যন্ত কোনও টাকাই পাননি বলে কাঞ্চনবাবুর অভিযোগ। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।
বন্ধ নিশ্চয়যান। বিপাকে বর্ধমানের বধূ। —নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy