বর্ষাকালে যতই জল-কাদা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করুন না কেন, জুতো নোংরা হবেই। কোনও কোনও জুতো এমনই যে, তা থেকে সমানে পায়ে কাদা উঠতে থাকে। বাড়ি ফিরে জুতো জোড়া যদি বাইরে খুলেও রাখেন। পা তো ধুয়ে ঢুকতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে ঘরের মেঝে নোংরা হবেই। তার উপর যদি বাড়িতে খুদে থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। সেই নোংরা মেঝে কখনও তার খাবার থালা, আবার কখনও তার আঁকার খাতা হয়ে ওঠে। অনেকেই হয়তো বলবেন, সারা দিনে মেঝে দু’বার মোছার পরেও কি এই পরিমাণ রোগ-জীবাণু থাকতে পারে?
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারণই হল মেঝেতে থাকা জীবাণু। এই সময়ে যেহেতু বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকে, তাই সুগন্ধিযুক্ত ফিনাইল দিয়ে মেঝে মোছার পরেও সেখানে জীবাণু থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি জলে মিশিয়ে ব্যবহার করলে মেঝে জীবাণুমুক্ত হবে। বর্ষায় চটচটে ভাবও থাকবে না।
আরও পড়ুন:
১) ভিনিগার
রান্নার হামেশাই ব্যবহার করা হয় যে ভিনিগার, তা আসলে এক ধরনের প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। তবে অনেকেই এই ভিনিগারের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। তাই জলে ভিনিগার মেশানোর সময়ে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) বেকিং সোডা
মেঝে জীবাণুমুক্ত করার আরও একটি উপাদান হল বেকিং সোডা। আধ বালতি গরম জলে এক চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দু’বার মুছে নিলেই মেঝে একেবারে ঝকঝক করবে।
৩) বাসন মাজার তরল সাবান
মেঝের টাইল্স বা পাথর যতই পালিশ করান না কেন, বর্ষাকালে তার জৌলুসহীন হয়ে পড়ে সহজেই। আবহাওয়ার জন্য মেঝেতে কেমন একটা চটচটে ভাবও দেখা যায়। যার জন্য রোগজীবাণুর বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় বেশি। মেঝের সেই চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনতে এবং মেঝেকে জীবাণুমুক্ত করতে গরম জলে কয়েক ফোঁটা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিলেই কেল্লা ফতে।