Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Tattoo

চেরা জিভ, এক চোখ পুরোপুরি কালো, ‘আঁতকে উঠবেন না, আমি অপরাধী নই’, আবেদন তরুণের

তাঁর শরীর ভরা ট্যাটু ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ফুটিয়ে রাখা ধাতব সামগ্রী দেখে আঁতকে ওঠেন অনেকে। বদলে ফেলেছেন জিভ ও চোখও। জার্মানির ডর্টমুন্ডের বাসিন্দা টবিয়াস মুলার তবু থামতে নারাজ।

‘অন্য রকম’ রূপটান।

‘অন্য রকম’ রূপটান। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
বার্লিন শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৪২
Share: Save:

কেউ ভয়ে আঁতকে ওঠেন, কেউ আবার রেগে যান দেখতে পেলে। বাইরে বেরোলেই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় টবিয়াস মুলারকে। কারণ আর কিছুই নয়, তাঁর শরীর ভরা ট্যাটু ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ফুটিয়ে রাখা ধাতব সামগ্রী। জার্মানির ডর্টমুন্ডের বাসিন্দা টবিয়াস ১৮ বছর বয়সে প্রথম বার ট্যাটু করান। তার পর থেকেই দেহে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।

৩৩ বছর বয়সি টবিয়াস একটি চিড়িয়াখানায় কাজ করেন। নিজেকে নতুন নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই ট্যাটু করানো শুরু করেন। কিন্তু শুধু তাতেই আটকে থাকেননি টবিয়াস। ত্বকের ভিতরে বিভিন্ন রকমের সামগ্রী ভরেছেন। ফুটিয়েছেন নাক, কান, গাল। কানের লতি লম্বা করেছেন কৃত্রিম ভাবে। অন্য রকম হবেন ভেবে নিজের জিভও দু’ভাগে চিরে ফেলেন তিনি। শুধু ত্বক কিংবা জিভই নয়, বদল এনেছেন চোখেও। কিছু দিন আগে, নিজের এক চোখে পুরোপুরি কালো করিয়ে নেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অন্য চোখটিও কালো করিয়ে নিতে চান তিনি।

টবিয়াস জানান, যে রূপ নিয়ে তাঁর এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সেই রূপের কারণেই হাজার রকম তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয় তাঁকে। পথঘাটে বহু মানুষ তাঁকে অপমান করে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পথচলতি মানুষ দূরে সরে যান, বাসে-ট্রেনে বসলে পাশের যাত্রী উঠে যান অনেক সময়ে। নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টাও করেন। কেউ কেউ তাঁকে বিকারগ্রস্তও ভাবেন। তবে সব ক্ষেত্রেই যে নেতিবাচক ব্যবহার পান এমন নয়, বরং কিছু ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহিত হয়ে তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তুলতে চান বলে জানিয়েছেন টবিয়াস। পথচলতি মানুষ যেমনই ভাবুন, তিনি কিন্তু সে সব ভাবনায় কান দিতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা, রূপ দেখে কোনও মানুষকেই বিচার করা ঠিক নয়।

অন্য বিষয়গুলি:

tattoo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy