মধুতে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী এক বৈশিষ্ট্য
মধুর খাদ্যগুণ নিয়ে বহু বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণা হয়ে চলেছে। চিনির বদলে মধু খেতে পরামর্শ দেন এখন অনেক চিকিত্সকই। কিন্তু ত্বকের সুরক্ষায় মধুর ভূমিকা কী হতে পারে সে খবর আমরা রাখি না সে ভাবে। জেনে রাখা দরকার যে মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিংয়ের বৈশিষ্ট্য। তাই এটি ত্বকের যত্নে প্রয়োগ করা এবং আপনার ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপাদান। এক বার ত্বকে প্রয়োগ করা হলে, এটি চামড়ার উপরের স্তরগুলিকে নরম করতে এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে যাতে ত্বকের নীচের স্তরগুলিও আর্দ্রতা না হারায়।
১। মধুতে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী এক বৈশিষ্ট্য। যা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে এবং লোমকূপে জমা ময়লা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে মধু বিশেষ জরুরি।
২। জৈব মধুতে অবস্থিত স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থা, স্ফীত ত্বক এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ আর লালচে ভাব— এই ধরনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৩। প্রোপোলিস সহ কাঁচা মধুর সাময়িক প্রয়োগ ত্বকের স্ট্রেচ মার্কের দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে। যেহেতু এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুষ্টও করতে সক্ষম মধু।
৪। মধু ত্বকে প্রযুক্ত হলে সেই অংশের আশেপাশের থেকে আর্দ্রতা আটকাতে পারে। তাই নখের কিউটিকলের উপর এবং তার চারপাশে এটি প্রয়োগ করে আপনি নখ ভেঙে যাওয়া অথবা অবাঞ্ছিত শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।
৫। রোদে পোড়া ত্বকের ফলাফল হল লাল ভাব, আর্দ্রতার অভাব। অনেক ক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে ত্বক ফুলে উঠতেও পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ঠান্ডা করতে এবং চিকিত্সা করার জন্য, আক্রান্ত স্থানে সরাসরি কাঁচা মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরার মিশ্রণটি লাগানো উচিত। এমনকি ইদানীং আগুনে পুড়ে যাওয়া দেহের চিকিত্সাতেও মধুর প্রলেপ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy