রাস্তার দু’পাশে হাসপাতাল। বিধি অনুযায়ী, কোনও ‘হর্ন’ বাজানো নিষিদ্ধ। সে সবের তোয়াক্কা না করে এয়ার হর্ন বাজিয়ে দিব্যি চলছে যানবাহন। হাসপাতালের গেটের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হচ্ছে। ফুটপাথ দখল করে গজিয়ে উঠেছে দোকানপাট। সেখানে উপচে পড়া ভিড়ে পথ চলা দায়। সব মিলিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য ভবন চত্বরের ঘিঞ্জি বেহাল দশা। তাতে রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনকে রোজই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও বিপাকে পড়ছেন।
হাসপাতাল সুপার সুশান্ত রায় বলেন, “ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য ভবনের আশপাশের এলাকার রাস্তা পারাপার করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ হাসপাতালে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, “হাসপাতাল এলাকায় শব্দ বিধির কিছুই মানা হচ্ছে না। অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে।” পরিস্থিতির কথা পুরসভাকে জানিয়েছেন তাঁরা। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “এ ভাবে চলতে পারে না। হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য ভবনের সামনের রাস্তার দু’পাশ থেকে সমস্ত দোকান তুলে দেওয়া হবে। ওই এলাকায় যেন গাড়ি না দাঁড়ায়, সে জন্য ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।”
ওই ব্যস্ততম রাস্তার এক পাশে জেলা স্বাস্থ্য ভবন। দোতলা ভবনের নীচে বহির্বিভাগ। দিনভর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের ভিড় থাকে সেখানে। অনেক সময় লাইন চলে যায় রাস্তার ধারে। বাস ও অটোরিকশার তীব্র এয়ার হর্নে অতিষ্ঠ হন রোগীরা। বহির্বিভাগ থেকে রাস্তার অন্য পাশে হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা। জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের ওসি সৈকত ভদ্র বলেন, “শহরের কয়েকটি এলাকায় যানজট কমাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিডিও অফিস মোড়, দিনবাজার এলাকায় গাড়ি দাঁড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় যানজট কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy