জেলার ১২ লক্ষ মানুষের ভরসা ওই সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু পানীয় জলের অভাবে দুর্ভোগে রোগীর পরিজনরা। এমনই কাণ্ড করিমগঞ্জে। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, সিভিল হাসপাতালে ট্যাঙ্ক, পাইপ, কল রয়েছে— নেই শুধু পানীয় জল! দোকান থেকে তা কিনে খেতে হয় সবাইকে।
জেলায় উন্নত পরিকাঠামোর সরকারি হাসপাতালের দাবি করিমগঞ্জে ছিল দীর্ঘদিনের। ২০১৩ সালে জেলায় ২০০ শয্যার ওই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কিন্তু এত বছরেও সেখানে রোগীর আত্মীয়দের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, শৌচালয় এবং নার্সদের ঘরে জলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রোগীর পরিজনদের বক্তব্য, সেখান থেকে জল নেওয়ার সুযোগ তাঁদের নেই। এক নয় হাসপাতালের লাগোয়া দোকান, না হলে ৫০০ মিটার দূরের চাপাকল— পানীয় জলের জন্য ওই দুয়েই ভরসা রাখতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে টিউবওয়েল থাকলেও তা অনেক দিন ধরেই বিকল। করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের সুপার অরুণাভ চৌধুরী জানান, বিকল ওই টিউবওয়েল দ্রুত মেরামত করা হবে।
জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ— কংগ্রেস, বিজেপি, ইউডিএফের সব মিলিয়ে পাঁচ জন বিধায়ক, এক জন সাংসদ রয়েছেন করিমগঞ্জে। কেউই হাসপাতালের দিকে কার্যত নজর দেন না। বছর দু’য়েক আগে তৎকালীন জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাই বরুয়া করিমগঞ্জ হাসপাতালে পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সাহায্য চেয়েছিলেন। তাঁকে সেখানে একটি ওয়াটার-ফিল্টার বসানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই শিশু বিভাগের সামনে সেটি বসানোও হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি এখন নষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy