প্রতীকী চিত্র।
বস্তাবন্দি দেহ সরিয়ে ফেলার জন্য অ্যাপচালিত গাড়ি বুক করেছিলেন দু’জন। সেই দেহ গাড়ির ডিকিতে তুলতে গিয়ে বস্তায় রক্তের ছোপ দেখতে পান অ্যাপ ক্যাবের চালক। তাঁরই উপস্থিত বুদ্ধিতে হাতে নাতে গ্রেফতার হলেন দুই খুনের অপরাধী।
কানপুরের ওই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধেই এক মহিলাকে খুন করে তাঁর দেহ লোপাটের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে নিহতের নাম কুসুম কুমারি। প্রায় ৪০ কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তির দখল নিয়ে অশান্তির জেরে তাঁকে খুন করে তাঁরই দেওর এবং আরও দুই আত্মীয়। গত ১১ জুলাই ওই খুনের ঘটনাটি ঘটে। সেদিনই নয়ডা থেকে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের মহারাজাপুর পর্যন্ত যাওয়ার একটি ওলা অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করেন কুসুমের দুই আত্মীয়।
পুলিশকে ওই অ্যাপ ক্যাবের চালক জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ভারি বস্তা ছিল। সেই বস্তা ডিকিতে রাখতে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বস্তাটি তুলতে গিয়েই তাতে রক্তের ছোপ দেখতে পান তিনি। গন্ডগোলের আন্দাজ করেই এর পর আর গাড়ি নিয়ে যেতে চাননি তিনি। কিন্তু চালক গাড়ি চালাতে অস্বীকার করায় তাঁকে হেনস্থা করেন ওই দুই ব্যক্তি। শেষে ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে এসে হাইওয়েতে মোতায়েন পুলিশকে খবর দেন গাড়ির চালক। তার পরই পুলিশ হাতে নাতে গ্রেফতার করে দু’জনকে। পরে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ওলা অ্যাপ ক্যাব চালকের নাম মনোজ। তাঁর সতর্কতার জন্যই রবিবার ফতেপুর থেকে কুসুমের দেহ উদ্ধার করে। সোমবার ওই দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও খোঁজ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy