নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজবল্লভ যাদবকে নিয়ে ফের সরগরম বিহারের রাজনীতি। আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের সঙ্গে আজ দেখা করেন রাজবল্লভ যাদব। তাঁদের মধ্যে প্রায় দু’ঘন্টা কথা হয়েছে। আর সেই সাক্ষাৎকার নিয়েই শাসক জোটকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। সাসপেন্ড হওয়ার পরেও কী ভাবে দলের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে রাজবল্লভ দেখা করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
লালু-রাবড়ীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজবল্লভ বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময়ে লালুপ্রসাদজির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কোনও সাহায্য চাইতে নয়। আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে সরকারের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’’ তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের একটা পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি মেনেই চলেছে। নীতীশ কুমার ব্যক্তিগত ভাবে তো আদালতে যাননি।’’
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাজবল্লভের বিরুদ্ধে। আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নওয়াদার এই প্রভাবশালী নেতা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পটনা হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। সেই জামিনের বিরোধিতা করে বিহার সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সরকারের বক্তব্য, জামিন পেয়ে মামলা সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট ও সার্বিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারেন তিনি। কারণ ইতিমধ্যেই সেই মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
আদালত সেই মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী কাল মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে উঠবে।
এই পরিস্থিতিতে লালুপ্রসাদ-রাজবল্লভ সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সাহাবুদ্দিনের জামিন নাকচ হওয়ার পরে কিছুটা ব্যাকফুটে লালু। যাদব-মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কিছুটা হলেও প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এরই মধ্যে আরজেডি সাংসদ তসলিমুদ্দিনও লালুর ওপরে খুশি নন। নীতীশ কুমারের উপরে দায় চাপালেও তসলিমুদ্দিন আক্রমণের নিশানায় লালুকেও রেখেছেন। দলের একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এই অবস্থায় রাজবল্লভের সঙ্গে
লালুর দেখা করা নিয়েই জল্পনা
শুরু হয়েছে।
বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, ‘‘নবরাত্রির সময় এমন এক অপরাধীর সঙ্গে দেখা করা সমস্ত স্ত্রী জাতির অপমান। সকলেই জানেন, লালুপ্রসাদকে অর্থের জোগান দেন রাজবল্লভ। যে ধরনের জঘন্য অপরাধ সে করেছে তাতে লালু-নীতীশের মদত ছাড়া তাঁর কোনও ভাবেই মুক্তি সম্ভব নয়।’’
লালুপ্রসাদ বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও তাঁর ছেলে, রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব অবশ্য এই সাক্ষাৎকারে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না।
তাঁর মতে, ‘‘আমরা দোষী সাব্যস্ত করার কেউ নই। অভিযোগ উঠেছে, আদালতই যা ঠিক করার করবে।’’
জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘নীতীশ কুমারের ইউএসপি হল অপরাধ দমন। ‘গণেশ-পরিক্রমা’ (পড়ুন, লালুকে প্রদক্ষিণ) করে কোনও অপরাধীই বাঁচবে না। সরকার কড়া ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy