রাজস্থানের কোটায় আবার আত্মঘাতী এক ছাত্র। অঙ্কুশ মিনা নামে ওই ছাত্র একটি কোচিং সেন্টারে ডাক্তারির প্রবেশিকা নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশের দাবি, পড়াশোনার চাপের জন্য ওই ছাত্র এই চরম পদক্ষেপ করেননি। প্রসঙ্গত, কোটায় প্রতি বছর এই পড়াশোনার চাপের জন্য বহু পড়ুয়া আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ।
অঙ্কুশ রাজস্থানেরই সওয়াই মাধোপুর জেলার বাসিন্দা। নিটের প্রস্তুতি নিতে কোটায় এসেছিলেন। সোমবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে। তাঁর পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন:
সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পড়ুয়ারা নিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে এই কোটা শহরে আসেন। এখানে থেকে পড়াশোনা করেন। সেই পড়াশোনার চাপের কারণেই অনেকে চরম পদক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে কোটায় ছয় পড়ুয়ার চরম পদক্ষেপ করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ২১ জানুয়ারি অসমের নগাঁওয়ের এক ছাত্র কোটার হোস্টেলে আত্মহত্যা করেন। তার কয়েক ঘণ্টা আগে মহিলাদের হোস্টেলে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ছাত্রী গুজরাতের অহমদাবাদের বাসিন্দা।
রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার দাবি করেছেন, ‘প্রণয়ঘটিত’ কারণেই ওই পড়ুয়ারা আত্মঘাতী হয়েছেন। মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেছিলেন, সন্তানদের কম চাপ দিতে। ২০২৪ সালে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ২৩ জনের আত্মহত্যার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল।