মণিপুরে গত তিন দিনে (২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যে) অন্তত ৯৯টি অস্ত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি দেশি রাইফেল এবং ন’টি মর্টার। এ ছাড়া বেশ কিছু গ্রেনেড এবং অন্য অস্ত্রও সমর্পণ করা হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার আরও ৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র এবং বেআইনি অস্ত্র সমর্পণের সময়সীমা প্রায় শেষের দিকে। এই অবস্থায় প্রায় প্রতি দিনই বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়তে শুরু করেছে মণিপুরে।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার পরে রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। হিংসা এবং অশান্তির সময়ে গত দেড় বছর ধরে রাজ্যে যত সরকারি অস্ত্র লুট হয়েছে, সব ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। লুট হওয়া অস্ত্র এবং বেআইনি অস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ মার্চ। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা বেআইনি অস্ত্র নিজেদের কাছে রেখে দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।
মণিপুরে হিংসার আবহে সে রাজ্যের বিভিন্ন গুদাম, বিভিন্ন বাহিনীর অস্ত্রশালা থেকে সরকারি অস্ত্র লুটের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তার এক সপ্তাহের মাথায়, ২০ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপাল ভল্লা নির্দেশ দেন, সাত দিনের মধ্যে লুটের অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতো সাত দিনের মধ্যে ৩০০-র বেশি অস্ত্র জমা পড়ে। তবে রাজ্যে আরও অনেক লুট হওয়া এবং বেআইনি অস্ত্র সরকারের কাছে ফেরেনি, তা অনুমান করেই সময়সীমা আরও বর্ধিত করেন রাজ্যপাল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ৬ মার্চ বিকেল ৪টে পর্যন্ত অস্ত্র সমর্পণ করা যাবে।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে শনিবার মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভল্লাও। শনিবারের ওই বৈঠকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র এবং অন্য বেআইনি অস্ত্র সমর্পণের উপরে।