ছবি: পিটিআই।
গোবর থেকে তৈরি চিপ মোবাইলের বিকিরণ ঠেকাবে বলে দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথিরিয়া।দেশের প্রায় ৬০০ জন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, অধ্যাপক তাঁকেই চিঠি লিখে প্রশ্ন তুললেন, কীসের ভিত্তিতে কাথিরিয়ার এমন দাবি? এর পিছনে কি কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা বা গবেষণা রয়েছে? সেই রিপোর্ট কি কোনও বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ হয়েছে? যদি তা না হয়, তা হলে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান কুসংস্কার ছড়িয়ে সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন বলেও বিজ্ঞানীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
গোসম্পদের উন্নতির লক্ষ্যে মোদী সরকার সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ গঠন করেছে। সেই আয়োগেরই চেয়ারম্যান কাথিরিয়া গত সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে গোবর থেকে চিপের কথা জানান। তাঁর দাবি ছিল, বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকেও মানুষকে নিরাপদে রাখবে ওই বিশেষ চিপ। কারণ গোবরের তৈরি চিপ বিকিরণ প্রতিরোধকারী। তা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত। গোবর থেকে তৈরি ওই বিশেষ চিপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৌসত্ত্ব কবচ’। রাজকোটের শ্রীজি গোশালায় তৈরি হয়েছে চিপটি। গোবরের তৈরি গণেশ, লক্ষ্মীর মূর্তি, প্রদীপও দীপাবলিতে ব্যবহারের জন্য তুলে ধরেন তিনি।
সরকারি খরচে, জনগণের টাকায় এই কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাথিরিয়াকে লেখা চিঠিতে বিজ্ঞানীরা জানতে চেয়েছেন, কোথায়, কবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হয়েছে? তা কোন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে? সেই গবেষণার তথ্য কোথায়? কী রকম বিকিরণ মাপা হয়েছে? কোন কোন মোবাইল ব্যবহার হয়েছে? বিজ্ঞানীদের মতে, তথ্য দিতে না পারলে কাথিরিয়ার দাবি কুসংস্কার ছড়ানোর শামিল। ভারতীয় সংবিধানের ৫১এ(এইচ) অনুচ্ছেদের বিরোধী। কারণ সংবিধান অনুযায়ী বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। তা ছাড়া, আয়োগ সরকারি টাকায় চলছে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া এ সব দাবির অর্থ জনগণের টাকা অপচয় করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy