-ফাইল ছবি।
কোভিড রোগীদের তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া ও চিকিৎসার পর তাঁদের আরও বেশি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ ও প্রাণায়াম কতটা কার্যকরী হতে পারে, তা জানার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে হৃষিকেশের ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)’-কে অর্থবরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। দেওয়া হল ৩ লক্ষ টাকা।
হৃষিকেশের এমস সূত্রের খবর, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রিতে নথিভুক্ত এমন ২০ জন কোভিড রোগীর উপর চালানো হবে ট্রায়াল। যাঁদের মধ্যে রোগের মাঝারি পর্যায়ের কিছু কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছে, এমন ২০ জন রোগীকে ভাগ করে নেওয়া হবে দু’টি দলে। ১০ জনের একটি দলের রোগীদের উপর চালানো হবে চালু চিকিৎসাপদ্ধতি। অন্য দলের রোগীদের দু’সপ্তাহ ধরে চালু চিকিৎসাপদ্ধতির সঙ্গে নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ করানো হবে উচ্চৈস্বরে। করানো হবে প্রাণায়ামের মতো কয়েকটি যোগাভ্যাসও। রোগীদের প্রাণায়াম করানো হবে এক জন স্বীকৃত যোগশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ট্রায়াল চালিয়ে দেখা হবে যে কোভিড রোগীদের নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ করানো ও প্রাণায়াম করানো হয়েছিল ‘সার্স-কভ-২’ ভাইরাসের হানাদারিতে তাঁদের দেহকোষের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রদাহের মাত্রা কিছুটা কম হয়েছে কি না।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অল্প বা মাঝারি পর্যায় থেকে কোভিড মানব দেহকোষে ভয়াবহ হয়ে ওঠে দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধী ব্যবস্থার অতি সক্রিয়তায়। সে জন্যই কোষের ক্ষয়ক্ষতি হয়, প্রদাহ দেখা দেয়। যা রোগকে আরও ভয়াবহ করে তোলে, রোগীকে টেনে নিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে।
হৃষিকেশের এমস-এর পালমোনোলজিস্ট ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর চিকিৎসক রুচি দুয়া বলেছেন, ‘‘নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ ও প্রাণায়াম-সহ নানা ধরনের যোগাভ্যাস কোভিড রোগীদের অবসাদ ও উদ্বেগের মাত্রা কমাতে পারে কি না ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সেটাও দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy