সনিয়া এবং সচিন। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করলেন সচিন পাইলট। বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতার দলনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে দলের অন্দরে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সনিয়ার কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছেন সচিন। অন্য একটি সূত্রের দাবি, রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ফিরে পেতে দলনেত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সচিন নিজে অবশ্য কোনও ‘দাবির’ জল্পনাই স্বীকার করেননি। বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘‘রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার পালাবদলের রেওয়াজ রয়েছে। সেই প্রবণতা ভেঙে কী ভাবে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরানো যায়, সে বিষয়ে সভানেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’
২০২০ সালে মরু-রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে সচিন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপির দিকে পা বাড়ানোর অভিযোগে সে সময় তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। গাঁধী পরিবারের হস্তক্ষেপে দলে থেকে গেলেও তিনি পুরনো পদ আর ফিরে পাননি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পরে সচিন দলের অন্দরে পুরনো গুরুত্ব ফিরে পেতে সক্রিয় হয়েছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।
উত্তর ভারতের আর এক রাজ্য পঞ্জাবে অমরেন্দ্র সিংহ এবং নভজোৎ সিংহ সিধুর দ্বন্দ্বের জেরে কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছিল। তারই পরিণামে মাস কয়েক আগে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। পঞ্জাব পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব উৎসাহী নন বলেই দলের অন্দরের খবর। কারণ, পদ হারালে অমরেন্দ্রর মতোই গহলৌতও দল ছাড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে ইতিমধ্যেই।
এই পরিস্থিতিতে কিছু দিন আগে সচিনকে এআইসিসি-র পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা খারিজ করে দেন। বৃহস্পতিবারও তিনি জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্য রাজনীতিতেই থাকতে চান। সচিন বলেন, ‘‘আমি আমার লক্ষ্য এবং অগ্রাধিকার স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আমার রাজ্য রাজস্থান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy