—প্রতীকী ছবি।
ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান হওয়ার পরেই অন্য উপায় নিয়ে ভাবছিলেন পঞ্জাবের রামদাস নগর এলাকার বাসিন্দা গুরপ্রীত সিংহ। অনেক পরিকল্পনার পর নিজের বন্ধুকে খুন করে, তাঁর পরিচয় ধার করে নিজেকেই মৃত বলে জনসমক্ষে দেখানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। জীবনবিমার চার কোটি টাকাও দাবি করে বসেন। আর এ সব করতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন ওই যুবক। চক্রান্তে শামিল হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন গুরপ্রীতের স্ত্রী-সহ মোট ৬ জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পরে নিজের বন্ধু সুখজিৎ সিংহকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন গুরপ্রীত। দেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, তার জন্য সুখজিৎকে হত্যা করে গাড়ির সামনে ফেলে দেন তিনি। খুন করার আগে সুখজিতের পোশাক বদল করে নিজের পোশাক পরিয়ে দিয়েছিলেন গুরপ্রীত। সুখজিতের স্ত্রী স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায়। সুখজিতের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গুরপ্রীতই তাঁর স্বামীকে মদ কিনে এনে দিতেন। গুরপ্রীতের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন গুরপ্রীত। ২০ জুন এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে জানা যায়, ‘মারা যাওয়া’র দু’দিন পরেই গুরপ্রীতের জীবনবিমা বাবদ জমানো টাকা দাবি করেছে তাঁর পরিবার। শোকের আবহে এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে খটকা তৈরি হয় তদন্তকারীদের মধ্যে। আরও তদন্ত চালানোর পর জানা যায়, গুরপ্রীত বহাল তবিয়তেই বেঁচে রয়েছেন। বিমার চার কোটি টাকা পাওয়ার জন্য বন্ধুর দেহকে নিজের দেহ বলে চালাতে চেয়েছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ, মদের ভিতর মাদক মিশিয়ে অচেতন করে খুন করা হয়েছে সুখজিৎকে। সুখজিতের দেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy