মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে কুম্ভমেলার সমালোচনা করার পরে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা। আজ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় বিরোধীদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভকে যাঁরা গালি দিচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাগলপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁদের পাল্টা আক্রমণ করেন।
যোগী আদিত্যনাথ আজ বলেছেন, “কুম্ভ এমন একটি স্থান, যেখানে মানুষ যা চায় তা পায়। শকুনেরা মৃতদেহ পায়, শূকরেরা ময়লা পায়… কিন্তু সংবেদনশীল মানুষেরা পায় সম্পর্কের এক সুন্দর ছবি, ব্যবসায়ীরা পায় ব্যবসা, ভক্তরা পায় পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা।”
সম্প্রতি কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলগুলি কুম্ভমেলার আয়োজনের সমালোচনা করতে শুরু করে। যোগী বলেন, “যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা ভুল বলছেন। কোনও জাতিকেই কুম্ভে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি। যে কেউ ভাল মনোভাব নিয়ে কুম্ভে এলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।” ২০১৩ সালের কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “তখন কুম্ভ ছিল অশান্তি, দুর্নীতি এবং দূষণময়। স্নান করার জল ছিল অস্বাস্থ্যকর, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন।” প্রসঙ্গত, তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব।
আজ মোদী বিহারে বক্তৃতা শেষে বলেন, “জঙ্গলরাজ (বিরোধী পক্ষ) গালি দিচ্ছে মহাকুম্ভকে। বাজে বাজে কথা বলছে, বদনাম করার কোনও সুযোগ ছাড়ছে না। যারা গালি দিচ্ছে, বিহার তাদের মাফ করবে না।” মোদীর কথায়, “গোটা ইউরোপের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষ মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় একতার উৎসব।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)