ফোনের ওপার থেকে বলা হল, ‘‘পিৎজা খানা হ্যায় আজ।’’ এ পার থেকে জবাব এল, ‘‘ঠিক হ্যায়।’’ ঠিক হয়ে গেল ‘পিৎজা খাওয়ার’ সময়ও। আনসাল প্লাজার অ্যাম্ফিথিয়েটারে দেখা হল দু’জনের। পাচার হয়ে গেল সীমান্তে বিএসএফের গতিবিধি সংক্রান্ত নথি।
পাক হাইকমিশনের কর্মী মেহমুদ আখতার আর তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ভারতীয় চররা এ ভাবেই কাজকর্ম করত বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিৎজার কথা বললে বোঝানো হত আনসাল প্লাজার অ্যাম্ফিথিয়েটারকে। বার্গার খেতে ইচ্ছে হলে দেখা হত পিতমপুরার এক মলে। কফি খাওয়ার কথা বললে বোঝানো হত প্রীত বিহারের একটি মলে দেখা করতে হবে।
গোয়েন্দাদের দাবি, অনেক সময়ে প্রকাশ্য স্থানে ইচ্ছে করেই একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেত মেহমুদ ও ভারতীয় চরের। সেই ফাঁকে হাতবদল হয়ে যেত নথি ও টাকার প্যাকেট। আবার অনেক ক্ষেত্রে মেট্রো স্টেশনের নির্দিষ্ট স্থানে প্যাকেট রেখে যেত ভারতীয় চর। পরে তা সংগ্রহ করে নিত মেহমুদ।
সরকারি কম্পিউটার থেকে দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য চররা বিশেষ ধরনের ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করত বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ওই ডিভাইসে কম্পিউটার থেকে দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ একটি প্রোগাম ছিল। ডেপুটি কমিশনার ভীষ্ম সিংহ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স়ঞ্জয় শেরাওয়াতকে চর-চক্রের কাজকর্ম পুরোপুরি খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) রবীন্দ্র যাদবের দাবি, জোধপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া শোয়েব পর্যটকদের বড় ব়ড় দলের পাকিস্তান সফরের ব্যবস্থা করত। তার বদলে ১ লক্ষ টাকা নিত সে। সেই সঙ্গে ওই পর্যটকদের নাম মেহমুদ আখতারকে সরবরাহ করত সে। সেই তালিকা থেকেই চর হিসেবে নিয়োগের জন্য নাম বাছাই করত আইএসআই। কোনও পর্যটকের আত্মীয় সরকারি কর্মী হলে তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দিত পাক গুপ্তচর সংস্থা।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে থাকার কৌশলও এই চরদের ভাল ভাবেই শেখানো হয়েছিল বলে মেনে নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সমাজবাদী সাংসদ মুনাব্বর সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী ফারহাত আখতার প্রায় দু’দশক ধরে আইএসআইকে তথ্য সরবরাহ করেছে। চক্রের আরও কয়েক জন সদস্যের খোঁজে উত্তর ভারতের নানা প্রান্তে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy