বাহানগা হাই স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মৃতদেহের সারি। —পিটিআই
ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাহানগা বাজার হাই স্কুলকে অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল সেই স্কুলে। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করে। পরে ভুবনেশ্বরের চারটি হাসপাতালে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বার সেই স্কুলকেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের প্রস্তাব মেনে পাশেই নতুন করে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। শুক্রবার সকালে স্কুল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ধাপে ধাপে ভবনের ছাউনি খুলে ফেলা হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত বাহানগা হাই স্কুলে ছিল শনাক্ত না হওয়া বহু মৃতদেহ। তার পর দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিজনেস পার্কে। স্কুল চত্বরে দুর্গন্ধ বেরোনোয় স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ছাড়াও স্যানিটাইজ় করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ওই স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অভিভাবকেরা। বিষয়টি জানতে পেরে বালেশ্বরের জেলাশাসক স্কুলে পৌঁছে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পড়ুয়াদের ভয় না দেখানোর বার্তা দেন তিনি। স্কুলের বর্তমান ভবন ভেঙে নতুন করে তৈরি করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিভাবকেরা, সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলাশাসক। তবে এই বিষয়ে খবর না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি।
অভিভাবকদের অনেকেই জানিয়েছিলেন, স্কুলটিকে যখন মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তখন তাঁরা যে সব দৃশ্য দেখেছেন, তার পর ছেলেমেয়েদের সেখানে পড়তে পাঠাতে তাঁদের আর মন চাইছে না। নানা রকম অলৌকিক গল্পও ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তার পরই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলা এই স্কুলে বর্তমানে ৫৬৫ জন পড়ুয়া রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy