চলছে গণটোকাটুকি। ধানবাদ কলেজে। চন্দন পালের তোলা ছবি।
বিহারের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মাসখানেক আগে নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বলেছিলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে পড়াশোনার পরিবেশ বিহারের চেয়ে অনেক ভাল। বিহারের ছেলেমেয়েরা চাইলে ঝাড়খণ্ডে এসে পড়াশোনা করতে পারে।’’ রঘুবরের বক্তব্যকে ভুল প্রমাণিত করল ধানবাদের গোবিন্দপুরের আর এস মোড় কলেজ।
৯ জুলাই ওই কলেজে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ভাষা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার্থীরা শুধু ক্লাসঘর নয়, কলেজের বারান্দা এমনকী মাঠে বসেও পরীক্ষা দিচ্ছেন। টোকাটুকি চলছে সমানতালে। ক্লাসঘরে একটি বেঞ্চে পাশাপাশি বসতে দেখা যায় ৪-৫ জন পরীক্ষার্থীকে!
কলেজের অধ্যক্ষ কিরণ সিংহ এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, ‘‘কলেজের আসন ৬০০। কিন্তু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬৬৪। ক্লাসের বাইরে তাই কয়েক জনকে বসানো হয়।’’ প্রশ্ন, এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিল কেন? কলেজ সূত্রের খবর, সে দিন ছিল ভাষা পরীক্ষা। ফলে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এক সঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। অন্য দিন তিনটি বিভাগের পরীক্ষার সময় আলাদা হওয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি। অধ্যক্ষ জানান, কলেজের কয়েকটি ঘরে মেরামতির কাজ চলায় সেখানে পরীক্ষার্থীদের বসানো যায়নি।
গণটোকাটুকির বিষয়টি কলেজের নজর এড়িয়ে গেল কী ভাবে? সদুত্তর মেলেনি।। অভিযোগ, বাগান-বারান্দায় বসে রীতিমতো বই খুলে টুকেছে অনেকেই। বিনা বাধায় কলেজ চত্বরে ঢুকে টোকাটুকিতে সাহায্য করেছে বহিরাগতরাও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমি কাউন্সিল। কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান ফল সিংহ বলেছেন, ‘‘ওই কলেজে টোকাটুকির বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যাঁরা ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারও দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy