জাতীয় সড়কে পচছে হাসপাতালের জঞ্জাল। শুক্রবার। ছবি: অমিত দাস।
২৪ ঘণ্টা পরও হাসপাতালের চিকিৎসাজাত বর্জ্য পড়ে থাকল হাইলাকান্দির রাজপথেই।
রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সফরের আগে গত কাল এস কে রায় হাসপাতাল চত্বরের আর্বজনা তুলে ফেলা হয়েছিল শহর সংলগ্ন রাস্তায়। রক্তমাখা গজ-তুলো-ব্যান্ডেজ থেক গ্লাভস, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ জনবসতি এলাকায় খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। গোটা এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র কটূ গন্ধও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ সবেও হেলদোল নেই প্রশাসনের।
রাস্তায় আবর্জনা ফেলার দায় এখন একে অপরের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুরসভা। গত কাল হাইলাকান্দির যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক উমেশ ফাংচু জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের আবর্জনা রাস্তায় ফেলে গিয়েছে পুরসভা। পুরসদস্য অরুণ দাস আশ্বাস দিয়েছিলেন, আজ তিনি ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু এ দিন অরুণবাবু জানিয়ে দেন, হাসপাতালের আবর্জনা রাস্তায় ফেলার দায়িত্ব পুরসভার নয়। ওই জঞ্জাল ফেলে গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই।
দু’পক্ষের টানাপড়েনে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জাতীয় সড়কের উপর পড়ে রয়েছে ভাঙা সিরিঞ্জ, স্যালাইনের পাইপ, গ্লাভস, পলিথিনের ব্যাগ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের হয়রানির কথা কেউ কানে তুলছে না। সফিকুর রহমান, আলিমউদ্দিন, রফিক আহমেদের মতো এলাকাবাসী ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, গত কাল দুর্গন্ধে তাঁরা টিকতে পারছেন না। সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থার আহ্বায়ক আবুল হুসেন মাঝারভুঁইঞা বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসাজাত বর্জ্য ব্যাগে ভরে পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এ ভাবে বিপজ্জনক বর্জ্য রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় সংক্রামক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার মানুষ।’’ হাইলাকান্দির ক্লাব প্রহরীর সম্পাদক প্রসাদ শুক্লবৈদ্য একে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলে চিহ্নিত করেছেন। কে বা কারা এ ভাবে জনবহুল এলাকায় চিকিৎসাজাত বর্জ্য ফেলে গিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy