বিষয়টি অনেক দিন ধরেই নজরে রাখছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কিছুতেই কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন। সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও কেন এ রকম হচ্ছে তার তথ্যানুসন্ধানে নামেন গ্রামবাসীরা।
অন্ধকারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেন বিদ্যুৎকর্মী। প্রতীকী ছবি।
প্রতি দিন রাতে ঠিক একই সময় গ্রামে বিদ্যুৎ চলে যায়। সময়ের হেরফের হয় না। আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ চলে আসে। বিষয়টি অনেক দিন ধরেই নজরে রাখছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কিছুতেই কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও কেন এ রকম হচ্ছে তার তথ্যানুসন্ধানে নামেন গ্রামবাসীরা।
যে বিষয়টি তাঁদের সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল তা হল, একই সংযোগ থেকে দুই গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। অথচ পাশের গ্রামে কেন বিদ্যুৎ থাকে? আবার কেনই বা একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ চলে যায়?
বেশ কয়েক মাস এ ভাবে কেটে যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা স্থির করেন যে ভাবেই হোক এই সমস্যার উৎস খুঁজতে হবে। গ্রামেরই এক প্রান্তে বিদ্যুতের মূল সংযোগকারী খুঁটি রয়েছে। সেখান থেকে গোটা গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। সেখানেই নজর রাখা শুরু করলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা দেখেন গ্রামেরই এক বিদ্যুৎমিস্ত্রি খুঁটিতে উঠলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন। তার পর নেমে সোজা হাঁটা দিলেন।
তাঁকে অনুসরণ করেন গ্রামের কয়েক জন। তাঁরা দেখেন, ওই বিদ্যুৎমিস্ত্রি গ্রামেরই সরকারি স্কুলে ঢুকে পড়লেন। তার পরের ঘটনায় প্রায় ভিরমি খাওয়ার অবস্থা হয় গ্রামবাসীদের। তাঁরা দেখেন, স্কুলের ভিতরে আগে থেকেই এক তরুণী হাজির। বিদ্যুৎমিস্ত্রি সোজা তাঁর কাছে চলে যান। গ্রামবাসীরাও তাঁদের নজরে রাখছিলেন। ঘণ্টা দুয়েক পর আবার সেই বিদ্যুৎমিস্ত্রি স্কুল থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করতে।
কেন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল এত দিন ধরে সেই সমস্যার সূত্র খুঁজে পাওয়ার পর তক্কে তক্কে ছিলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার গ্রামের বিদ্যুৎ চলে যেতেই গ্রামবাসীদের কয়েক জন আগে থেকেই হাজির হন ওই স্কুলে। বিদ্যুৎমিস্ত্রি সেখানে পৌঁছতেই প্রেমিকার-সহ দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা।
জেরায় ওই বিদ্যুৎমিস্ত্রি গ্রামবাসীদের জানান, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য গ্রাম অন্ধকার করে দিতেন তিনি। এর পরই গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেন। ঘটনাটি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy