চণ্ডীগড়ে চা চক্রে অমরেন্দ্র সিংহ এবং নভজোৎ সিংহ সিধু। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
শেষ পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের নয়া সভাপতি নভজোৎ সিংহ সিধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। শুক্রবার সকালে চণ্ডীগড়ের পঞ্জাব ভবনের চা চক্রে দু’জনের আলোচনা হয়।
আগামী বছরের গোড়ার পঞ্জাবের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল গাঁধীর ‘বার্তা’ পেয়েই দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরতে সক্রিয় হয়েছেন পঞ্জাবের দুই কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী গত সপ্তাহে সিধুকে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে সিধু একাধিক কমর্সূচিতে যোগ দিলেও সেখানে অমরেন্দ্রকে দেখা যায়নি। ক্যাপ্টেন-শিবিরের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালে পঞ্জাব মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে সিধু প্রকাশ্যে একাধিক বার রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে অমরেন্দ্র দেখা করবেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে। অন্যদিকে, সিধু ঘনিষ্ঠেরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দেন।
সিধু ক্ষমা চাননি। তবে বৃহস্পতিবার সিধু চিঠি লিখে ‘পঞ্জাবে কংগ্রেস পরিবারের প্রবীণতম নেতা’ অমরেন্দ্রকে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস পদাধিকারীদের আশীর্বাদ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর নিজের কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই দাবি করে অমরেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে সিধু জানান, সনিয়ার নির্দেশে তিনি পঞ্জাবে দলকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর পরেই অমরেন্দ্রর মিডিয়া উপদেষ্টা শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জাব ভবনে কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হবেন। এরপর শুভেচ্ছা জানানো হবে প্রদেশ কংগ্রেসের নয়া সভাপতি এবং চার জন কার্যনির্বাহী সভাপতিকে।
ওই ঘটনার পরেই দুই শিবিরের দূরত্ব কমার পূর্বাভাস মিলেছিল। শুক্রবার সকালে অমরেন্দ্রর চা চক্রে যোগ দিতে পঞ্জাব ভবনে পৌঁছন সিধু এবং তাঁর অনুগামীরা। দুই নেতার এই সাক্ষাৎ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ পঞ্জাব কংগ্রেসকে কিছুটা অক্সিজেন জোগাল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy