শিলচরের সিনিয়র সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আইনজীবীদের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়াল। অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিলচর ডিড রাইটার্স অ্যান্ড স্ক্রাইবস অ্যাসোসিয়েশন। দিনভর ধর্না দিয়ে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্রও প্রদান করে। বিবাদের সূত্রপাত কাল একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ঘিরে। অভিযোগ, আইনজীবী সীমা চক্রবর্তী একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য গেলে সিনিয়র সাব-রেজিস্ট্রার এন থাওসেন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি ফিরে গিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তার বিচার চান। থাওসেনের বিরুদ্ধে আগেও বহু আইনজীবী অভিযোগ জানা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর বার অ্যাসোসিয়েশন জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল। কালকের অভিযোগ আগুনে ঘিয়ের কাজ করে। দল বেঁধে অনেক আইনজীবী থাওসেনের চেম্বারে ঢোকেন।
থাওসেন এজাহারে পুলিশকে জানান, আইনজীবীরা তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করে। অফিসে ভাঙচুর চালান। নিজেকে বাঁচাতে জেলাশাসকের অফিসে ছুটে যান। তিনি এজাহারে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শান্তনু নায়েক, প্রাক্তন সম্পাদক নীলাদ্রি রায়, অমিয়ভূষণ চৌধুরী, সুকুমার দত্ত ও সীমা চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ করেন। সাব-রেজিস্ট্রারের পক্ষ নিয়ে আজ আন্দোলনে নামে ডিড রাইটার্স অ্যান্ড স্ক্রাইবস অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের অভিযোগ, গত কাল আইনজীবীরা অফিসে ভাঙচুর চালানোর সময় বাধা দিতে গেলে তাঁরাও নিগৃহীত হন। তাঁদের গালি দেন আইনজীবীরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্নার কথা ঘোষণা করেন দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডাররা। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা দলিল লেখায় বিরতাকবেন বলেও জানান। বার অ্যাসোসিয়েশনেরও এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দু-চারজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার পড়লেও সব আইনজীবী তাঁদের পাশে একজোট থাকার কথা জানান। শান্তনুবাবু জানান, কাল অতিরিক্ত জেলাশাসক বি সি নাথের অফিসে বিবাদের মীমাংসা হয়। সাব-রেজিস্ট্রার থাওসেন দুঃখপ্রকাশ করেন। এর পর মামলায় যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। তাঁরা দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডারদের আন্দোলনেও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy