Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Amit Shah

করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই লকডাউন নয়, বললেন অমিত শাহ

‘‘প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি। তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবেন’’, মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৫৭
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ বা়ড়লেও দেশে এখনই লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করলেন অমিত শাহ। টিকার যথেষ্ট যোগান নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘চিন্তার কারণ নেই, দেশে টিকার সরবরাহ ঠিকই আছে।’’ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘দেশের বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন। প্রশাসনের তরফ থেকেও সব সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেশে লকডাউন করার কারণ ছিল চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা। তা বেশ কিছুটা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া এখন আমাদের হাতে টিকাও রয়েছে। তবে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি। তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।’’

পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভার ভোট হয়েছে এবং হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বড় সভা, জমায়েতে হাজির হচ্ছেন জাতীয় নেতারা, ভিড় বাড়ছে লোকের। এই পরিস্থিতি কি নতুন করে করোনা সংক্রণ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে অমিত বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে তো কোনও নির্বাচন হচ্ছে না। সেখানে ৬০ হাজার ছুঁয়েছে আক্রান্ত। যেখানে যেখানে করোনা সংক্রমণ অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতেই নির্বাচন হচ্ছে, এমনটা নয়। যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, সেই রাজ্যগুলির প্রতি আমার সমবেদনা আছে। কিন্তু তা বলে নির্বাচনের সঙ্গে করোনা সংক্রমণকে এক আসনে বসিয়ে দেখা ঠিক হবে না।’’ তিনি মনে করেন, নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের এক গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে যখন, তখন আর কিছু করার নেই, নির্বাচন হবেই।

টিকাকরণ নিয়েও কেন্দ্রকে বারবার বিঁধেছে বিরোধীরা। নির্বাচনের সভামঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেছেন, টুইটারে রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীরাও কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন। সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে অমিতের দাবি, ‘‘ভারতে টিকা দেওয়ার গতি বিশ্বে সর্বোচ্চ। প্রথম ১০ দিনের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে, ভারতে বিপুল পরিমাণে মানুষ টিকা নিয়েছেন। আমি টিকার অভাব কোথাও দেখতে পাচ্ছি না।’’ তিনি জানান, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে লিখিত কিছু দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল, দ্বিতীয়বারের তেমন নেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগ অনেকেরই। অমিতে দাবি, ‘‘এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। আগেরবারের মতো প্রধানমন্ত্রী এ বারেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সামাজিক সংস্থাগুলিকেও কেন্দ্র সাহায্য করছে। বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করছেন। আমার মনে হয় লড়াইটা কঠিন হলেও ভারত জিতবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Amit Shah coronavirus COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy