দ্বিতীয় শ্রেণীর আট বছরের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অন্তত ত্রিশবার থাপ্পড় মারার পাশাপাশি জুতো চাটানোর অভিযোগ তুলল ছয় বছরের কিন্ডারগার্টেন (কেজি)-এর এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আগরার একটি কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলে।
শিশুটির মা-বাবা জানিয়েছেন, ৪ মার্চ ওই পড়ুয়া স্কুলে যেতে অস্বীকার করে। যদিও এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শিশুটি অসুস্থ ছিল বলে তার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। আগ্রায় ৩-৪ জন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ এবং একাধিক পরীক্ষা করার পরেও শিশুটির আসল সমস্যা কোনও চিকিৎসকই বুঝতে পারেননি। এক সময়ে শিশুটির কাউন্সেলিং করানোর সিদ্ধান্ত নেনে তাঁরা।
কাউন্সেলিং চলাকালীন শিশুটি জানায়, স্কুলের এক ছাত্র তাকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভাবে হেনস্থা করছিল। কখনও স্কুলের শৌচাগারে আটকে রাখত হত, আবার কখনও কমপক্ষে ৩০ বার চড় মারা হয়। এ ছাড়াও জুতোতে থুতু ফেলে তা চাটতে বাধ্য করা হয়। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলারও না কি হুমকি দিয়েছিল ওই সিনিয়র। এই কথাগুলি মোবাইল বন্দি করেন নির্যাতিত ওই শিশুর মা-বাবা। যা পরে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে নির্যাতিত শিশুটির মা-বাবা। মামলার তদন্তকারী অফিসার মায়ঙ্ক তিওয়ারি জানিয়েছেন, ৮ মার্চ দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)