প্রতীকী ছবি।
কানে গোঁজা ছিল ইয়ারফোন। তারস্বরে তাতে গান চলছিল। ওরা খেয়ালই করেনি যে সিগন্যাল সবুজ হয়ে রয়েছে! এমনকী, ইয়ারফোনের দৌলতে কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি পিছন থেকে আসা ট্রেনের হর্নও।
ফলে, লাইন ধরে হাঁটতে গিয়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে মৃত্যু হল ৬ বন্ধুর। আর এক বন্ধু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার মাঝরাতে উত্তরপ্রদেশের পিলখুয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হল বিজয়, আকাশ, রাহুল, সমীর, আরিফ এবং সালিম। আর গুরুতর জখম হয়ে যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার পরিচয় জানা যায়নি। তবে এদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। প্রত্যেকের কানেই ইয়ারফোন ছিল বলে জামা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মুকুলে ছেয়েছে ঘর, ফুলের স্বপ্ন বিজেপি-র
পুলিশ সূত্রে খবর, তারা প্রত্যেকেই রঙের কাজ করে। সম্প্রতি হায়দরাবাদে একটি রঙের কাজের বরাত পেয়েছিল। হায়দরাবাদ যাওয়ার জন্যই তারা ট্রেন ধরতে রাতে পিলখুয়া থেকে গাজিয়াবাদে এসেছিল। কিন্তু যত ক্ষণে গাজিয়াবাদ পৌঁছয়, তত ক্ষণে ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে। অত রাতে কোনও গাড়ি না পেয়ে তাই ট্রেন লাইন ধরেই পিলখুয়ায় ফিরে যাচ্ছিল তারা।
পুলিশকে দেওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুসারে, ইয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে তারা প্রত্যেকেই লাইন বরাবর খুব গা ছাড়া ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছিল। পিলখুয়ার সাদিকপুরার কাছে পৌঁছলে পিছন থেকে একটি ট্রেন এসে তাদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৬ বন্ধু। আর এক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়েরা ট্রেন লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কোনও বৈদ্যুতিক আলো নেই। তার উপর প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই সব সময় স্থানীয়দের লাইন পারাপার করতে হয়। ট্রেন আসছে কি না তা বোঝারও কোনও উপায় নেই। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy