Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪

চিন সীমান্তে ফের খুলল হেলিপ্যাড

দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে বন্ধ থাকার পরে ফের চালু হল ওয়ালংয়ের ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ বা এএলজি। একেবারে চিনের গা ঘেঁষে থাকা অরুণাচল প্রদেশের এই এএলজি বিমান বাহিনীর হাত আরও মজবুত করল।

অরুণাচল প্রদেশের ওয়ালংয়ে হেলিপ্যাডের উদ্বোধন। ছবি: বিমান বাহিনীর সৌজন্যে

অরুণাচল প্রদেশের ওয়ালংয়ে হেলিপ্যাডের উদ্বোধন। ছবি: বিমান বাহিনীর সৌজন্যে

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১৩
Share: Save:

দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে বন্ধ থাকার পরে ফের চালু হল ওয়ালংয়ের ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ বা এএলজি। একেবারে চিনের গা ঘেঁষে থাকা অরুণাচল প্রদেশের এই এএলজি বিমান বাহিনীর হাত আরও মজবুত করল। অবশ্য বিমান বাহিনীর দাবি, সামরিক প্রয়োজন নয়, প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা স্থানীয় মানুষদের সাহায্যের জন্যই ওয়ালংয়ের গুরুত্ব বেশি।

অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলায় রয়েছে ওয়ালং। ১৯৬২ সাল অবধি সেখানে চপার, হালকা বিমান ওঠানামা করত। চিন সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে থাকা ওয়ালংয়ে ১৯৬২ সালে ভারতীয় বাহিনীর ‘১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড’ চিনের পিএলএ বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল। ভারতীয় বাহিনীর পরাজয়ের পর থেকেই ওয়ালং বন্ধ হয়ে যায়।

বিমান বাহিনী সূত্রে খবর, চিন সীমান্তে নজরদারি, প্রহরা ও সেনা তথা বিমান বাহিনীর শক্তি বাড়াতে এএলজিগুলি ফের সক্রিয় করে তোলার জন্য ২০১৩ সালে কাজ শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই মতো, ওয়ালং-এর পাশাপাশি, মেচুকা, জিরো, টুটিং, আলং ও বিজয়নগরের এএলজিগুলিও সক্রিয় করে তোলা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়।

বিমান বাহিনীর কর্তারা জানান, ভারত সরকার ‘বোয়িং’ সংস্থা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত আক্রমণকারী হেলিকপ্টার ‘অ্যাপাচে এএইচ ৬৪-ই’ এবং সাড়ে নয় টন ওজনবাহী হেলিকপ্টার ‘সিএইচ ৪৭-এফ চিনুক’ কিনতে চলেছে। আপাতত বিমান বাহিনীর জন্য ১৫টি চিনুক ও ২২টি অ্যাপাচে কেনা হবে। পরে, সেনা বাহিনীর ‘অ্যাভিয়েশন কোর’-এর জন্যও ৩৯টি অ্যাপাচে কেনার প্রস্তাব রয়েছে। চিনুক হাতে এলে সীমান্তে সেনা, সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে যাওয়া ও সড়ক নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ভারি সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধা হবে। অন্য দিকে অ্যাপাচে-বাহিনী সীমান্ত প্রহরা ও হানাদারিতে ভারতের ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে চলেছে। এই অবস্থায় চিন সীমান্তে এএলজির সংখ্যা যত বাড়বে ততই ভারতের সুবিধা। ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের মুখপাত্র গ্রুপ ক্যাপ্টেন অমিত মহাজন জানান, চিন সীমান্তে যে কোনও অভিযান শুরু করায় ‘ওয়ালং এএলজি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। পাশাপাশি, দূর্গম গ্রামগুলিতে ত্রাণ বা রেশন পৌঁছে দেওয়া, পাহাড়ের ঘাঁটিতে মোতায়েন থাকা সেনাকর্মীদের জন্য রসদ পৌঁছে দেওয়া এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও ওয়ালং থেকেই হেলিকপ্টার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

গত কাল ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের এয়ার অফিসার কম্যান্ডিং ইন চিফ, এয়ার মার্শাল সি হরি কুমার ও ভাইস মার্শাল মানবেন্দ্র সিংহ ওয়ালং এএলজি উদ্বোধন করেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy