উত্তর কাছাড় (বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলা) স্বশাসিত পরিষদে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ঠিক কত টাকা নয়ছয় করা হয়েছে, তার হিসেব নিয়ে নিশ্চিত নয় রাজ্য।
আজ বিধায়ক আমিনুল ইসলাম ও ফণীভূষণ চৌধুরী এ নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানতে চান, উত্তর কাছাড়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ কত টাকা আত্মসাত্ করা হয়েছে এবং এ নিয়ে কোন সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে? পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী খর সিংহ ইংতি জানান, ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই ১০টি মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে। উন্নয়নের টাকা ডিএইচডি (জুয়েল) জঙ্গিদের কাছে গিয়েছে বলে জানা যাওয়ায়, এনআইএ আরও দু’টি মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল গুয়াহাটিতে ফোজেন্দ্র হোজাই ও বাবুল কেম্প্রাই নামে দুই ব্যক্তিকে ১ কোটি টাকা ও দু’টি পিস্তল-সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে উদ্ধার করা হয় সিঙ্গাপুরে তৈরি ৮টি এম ১৬ রাইফেল, একটি বেরেটা পিস্তল, ১২টি ওয়াকি-টকি। তদন্তে জানা যায়, উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পরিষদের হাতে আসা উন্নয়নের টাকা কী ভাবে একাংশ নেতা-আমলা-ঠিকাদার ও জঙ্গিদের হাতে চলে যাচ্ছে।
তদন্ত চালিয়ে, স্বশাসিত পরিষদের তত্কালীন মুখ্য কার্যবাহী সদস্য মোহিত হোজাই, সমাজ কল্যাণ বিভাগের উপ সঞ্চালক আর এইচ খান, ডিএইচডি জুয়েল গোষ্ঠীর প্রধান জুয়েল গার্লোসা, সেনাধ্যক্ষ নিরঞ্জন হোজাই, উপ সেনাধ্যক্ষ ড্যানিয়েল ডিমাসা-সহ ১৬ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। অন্য দিকে, সিবিআই হোজাই, খান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার করুণা শইকিয়া-সহ ৮৫ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে। এদের মধ্যে এনআইএর মামলায় সমীর আহমেদের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আদালত হোজাই ও শইকিয়াকে ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও কৃষি বিভাগের দুই ইঞ্জিনিয়ারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। বাকি ৮টি মামলা বিচারাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy